চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে গৃহবন্দি করা হয়েছে! এমন জল্পনার খবরে সয়লাব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চীনা পিপলস আর্মির (পিএলএ) প্রধান পদ থেকে শি’কে সরানো হয়েছে। সেইসঙ্গে তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
তবে এমন জল্পনার খবর সম্পর্কে দেশটির ক্ষমতাসীন চীনা কমিউনিস্ট পার্টি বা দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম নিশ্চিত করে কিছু বলেনি।
সম্প্রতি চীনা প্রেসিডেন্ট উজবেকিস্তানে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সামিটে অংশ নেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ২০২০ সালে সীমান্তে সংঘর্ষ ঘটনার পর প্রথমবারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মুখোমুখি হন শি।
বেশ কিছু টুইটার পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ১৬ সেপ্টেম্বর বেইজিংয়ে অবতরণ করার পরেই শিগগিরই শি’কে গৃহবন্দি করা হয়। কিছু চীনা টুইটার ব্যবহারকারীরা দাবি করেছেন, পিএলএ দেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং জল্পনা উঠেছে, জেনারেল লি কিয়াওমিং চীনের নতুন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছেন।
এনডিটিভি বলছে, শি’র গৃহবন্দি হওয়ার খবর অনেক টুইটার ব্যবহারকারী পোস্ট করেছেন। এমনকি অনেকে দাবি করেছেন, এটি সেনা অভ্যুত্থান এবং পিএলএ’র গাড়ি রাজধানী বেইজিংয়ের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। কেউ হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছেন, পিএলএ সামরিক গাড়ি সেপ্টেম্বর ২২ তারিখে বেইজিংয়ের দিকে যাচ্ছে। এটি হুইয়ানলাই কাউনটি থেকে যাত্রা শুরু করেছে।
চীনা কলামিস্ট, লেখক এবং আইনজীবী গর্ডন জি চ্যাং দাবি করেছেন, দেশটির ৫৯ শতাংশ বিমানের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এবং সিনিয়র কর্মকর্তাদের জেল হয়েছে। এরপরেই সামরিকবাহিনীর গাড়ি বেইজিংয়ের দিকে যাচ্ছে। এমন একটি ভিডিও তিনি পোস্ট করেছেন।
এছাড়া আজ বেইজিংয়ের আকাশে কোনো বাণিজ্যিক ফ্লাইট উড়ে না যাওয়ার খবরও চাউর হয়েছে। তবে এসবের সত্যতা এখন পর্যন্ত যাচাই করা সম্ভব হয়নি। চলতি সপ্তাহের শুরুতে চীন দেশটির সাবেক দুই মন্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। এরপরের শি জিনপিংয়ের গৃহবন্দি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।