হাফিজুল ইসলাম লস্কর, সিলেটঃ ঋতু বৈচিত্রের অপরুপ সৌন্দর্যমন্ডিত বাংলার বুকে প্রতিনিয়ত প্রাকৃতি সাজে নতুন রুপে। নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অনন্য ও অপরুপ অনুষঙ্গ কাশফুল। আকাশের সাদা মেঘের সঙ্গে বাতাসে দোল খাওয়া কাশফুল কেবলই মুগ্ধতা ছড়ায়।
প্রভাতের স্নিগ্ধ আলো আর গোধূলি লগ্নে কাশফুলের সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিন প্রকৃতি প্রেমিদের পদচারণায় মুখরিত গোলাপগঞ্জ উপজেলার চৌঘরী এলাকার প্রাঙ্গণ।
সিলেট জকিগঞ্জ রোডের পাশ ঘেঁষে বিস্তীর্ণ প্রান্তরে কাশফুলের বাতাসে দোল খাওয়ার দৃশ্য বেড়াতে আসাদের মনে দিচ্ছে দোলা। কেউ বন্ধুদের সঙ্গে, কেউবা প্রিয়জনকে নিয়ে, কেউ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এসেছেন প্রাকৃতির সান্নিধ্যে। দোল খাওয়া কাশফুলের নরম ছোঁয়ায় মোহিত হচ্ছেন তারা। কেউবা সেই অনুভূতিগুলোকে ক্যামেরায় ফ্রেমবন্দি করে রাখছেন। অনেকেই ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
নিজের বন্ধু নিয়ে ঘুরতে আসা এক প্রাকৃতি প্রেমিক বলেন- বিকেলে আবহাওয়া ভালো থাকে, মাঝে মধ্যে আসি এখানে। আমরা বন্ধুরা কাশবনে ঘুরতে পছন্দ করি। এখানে এসে ছবি তুলে, ভিডিও করে, খুব সুন্দর সময় কাটে আমাদের।
ঘুরতে আসা কলেজ শিক্ষার্থী সিয়াম বলেন, শুভ্র মেঘ আর কাশফুল সৌন্দর্য মিলে প্রাকৃতি যখন মোহনীয় রুপ ধারন করে তখন মন উৎফুল্ল হয়ে উঠে। কাশফুলের প্রতি আমার অন্যরকম একটি মোহ আছে। সবসময় তো আর চাইলেই কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়না। কাশফুলের গন্ধ না থাকলেও নান্দনিক সৌন্দর্য আছে।
সামছুল ইসলাম বলেন, ছেলেবেলায় দেখতাম বর্ষার শেষ দিকে প্রায় সবজায়গা কাশফুল দেখা যেতো কিন্তু এখন সেটা নেই। এখানে ব্যতিক্রম বনানীঘেরা কাশফুল। কাশফুল আমাদের গ্রামীণ একটি সৌন্দর্য। নতুন প্রজন্মের অবশ্যই কাশফুলের সংস্পর্শ প্রয়োজন। এতে ওদের মানসিক শক্তি আর কল্পনা শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
সিলেট জকিগঞ্জ মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে চৌঘরী এলাকার কাশফুলের শুভ্রতা। শহরের কোলাহল ছেড়ে একান্ত কিছু সময় ফুরফুরে মনে পরিবার নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন, স্পর্শ নিতে পারেন প্রাকৃতিক কাশফুলের নান্দনিকতায়।