বাংলাদেশ ফুটবলে পুরুষদের সাফল্য এখন খুঁজে পাওয়া ভার। অপরদিকে সাম্প্রতিক সময়ে ফুটবল ঘিরে যত সাফল্য এসেছে সব মেয়েদের ঘিরে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে শুরু করে সাউথ এশিয়ান গেমস সব ক্ষেত্রেই সাফল্যের বিচ্ছুরণ ঘটিয়েছে বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা।
যার সর্বশেষ এবং সর্বোচ্চ সাফল্যের পালক যোগ হয়েছে সদ্য শেষ হওয়া সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে। যে ফুটবলাররা দেশকে এত বড় সাফল্য এনে দিয়েছেন, ঐতিহাসিক অর্জনে আনন্দে ভাসিয়েছেন পুরো দেশবাসীকে, তাদের মাসিক আয় মাত্র ১০ হাজার টাকা করে।
স্বভাবতই নারী ফুটবলারদের শিরোপা জয়ের পর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) প্রধান কাজী সালাহ্উদ্দিনের কাছে প্রশ্ন আসে তাদের বেতন নিয়ে। কেবল বেতন নয় এত বড় ঐতিহাসিক অর্জনের পর তাদের বোনাস দেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নও করা হয় বাফুফে প্রধানকে।
এর উত্তরে কাজী সালাহ্উদ্দিন বলেন, আমি তো চাই প্রত্যাকটা মেয়েকে একসঙ্গে ২ কোটি টাকা করে দিয়ে দিতে। আমার কাছে থাকলে আমি দিয়ে দিতাম, আমি এমনই। আমি চেষ্টা করছি আনতে, আনতে পারলে ওদেরই দেব।
কারণ, মেয়েগুলোকে যত দেব, ততই আমি পাব। এই ব্যাপারে আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন। এখানে ফান্ড থাকলে সেগুলো কেবল মেয়েদের পেছনেই যাবে।
এ ছাড়াও সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাঘিনীদের শিরোপা জয় ভবিষ্যতে নারী ফুটবলে অন্যান্যদের আসতে উৎসাহিত করবে কি না, জানতে চাইলে কাজী সালাহ্উদ্দিন আরও যোগ করেন,
‘এই মেয়েগুলা যখন প্রথম আসে, ওদের বাবা-মায়েদের আমরা সোনারগাঁওতে (হোটেল) ডেকেছিলাম। তখন তাদের মাসিক আয় ছিল কারও ৭ হাজার, ১০ হাজার কিংবা ১২ হাজার টাকা। আজ ওই মেয়েগুলোর কাছে বাসায় দুই-তিনটা টিভি, চারটা মোবাইল, ব্যাংক ব্যালেন্স, জমি আছে; এসব কিন্তু ফুটবল খেলে হয়েছে। এই ইমপ্যাক্ট ওরা দেখছে।
এই শিরোপা জেতার পর আগামীকাল বিএফফ এবং সরকার মিলে যে সংবর্ধনা ওদের দেবে, এটা দেখলে এই মেয়েগুলার মনে হবে, আমিও খেলতে পারি, খেলতে চাই। আশা করি, এটার একটা ইতিবাচক দিক থাকবে।’