মালয়েশিয়া: দেশের অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে চলেছে উল্লেখ করে বাংলাদেশকে বিশ্বের রোল মডেল বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী।
শুক্রবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় সাবাহ প্রদেশের কোতা কিনাবালু সমুদ্রতীরের লা মেরিডিয়ান হোটেলের বলরুমে তাকে দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, খাদ্য, বিদ্যুৎসহ অবকাঠামোগত নানা দিক থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ এ দেশ এখন শুধু ভবিষ্যতের দিকেই তাকাচ্ছে।
এসময় আরও শ্রমিক যাতে মালয়েশিয়ায় আসতে পারে এ নিয়ে সরকার কাজ করছে বলেও সবাইকে আশ্বস্ত করেন তিনি।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নুরুল ইসলাম বলেন, জি-টু-জির বাইরে গিয়ে মালয়েশিয়ায় লোক পাঠানোর কথা আপাতত ভাবছে না সরকার। তবে এ প্রক্রিয়া তরান্বিত করতে কাজ চলছে।
মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহিদুল ইসলাম বলেন, মালয়েশিয়ায় এখনও চল্লিশ লাখ শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে। বিশাল এই শ্রমবাজারে বাংলাদেশ কীভাবে সুবিধা নিতে পারে সে বিষয়ে আমরা সরকারের কাছে প্রস্তাবনা তুলে ধরবো।
এছাড়া কুয়ালালামপুর থেকে আসা বক্তারা শ্রমবাজারে বাংলাদেশি শ্রমিকের অন্তর্ভূক্তি বাড়ানো, আসিয়ানে বাংলাদেশকে সংযুক্ত করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত ছাড়াও অনুষ্ঠানে দূতাবাসের নবনিযুক্ত ডেপুটি হাইকমিশনার ফয়সাল, রাজনৈতিক বিষয়ক কাউন্সিলর রইচ হাসান সারওয়ার উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের নেতারা। এছাড়া সাবাহ কমিউনিটির পক্ষে মন্ত্রীকে ফুল ও ক্রেস্ট দেন মানিক মিয়া, জামিল হোসেন ও সাবাহ প্রদেশে কর্মরত বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ।
মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের যুগ্ন-আহ্বায়ক ওহিদুর রহমান ওহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের নেতারা। শাখাওয়াত হোসেন জোসেফ ও মিনহাজ উদ্দিন মিরানের সঞ্চালনায় সাবাহ্ প্রদেশের বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষে বক্তব্য রাখেন মানিক মিয়া। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবাহ প্রদেশে কর্মরত চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।
শনিবার দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এতে দু’দেশের ভিসা অব্যাহতির বাস্তবায়ন, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে গুরুত্ব দেবে বাংলাদেশ।
অন্যদিকে মালয়েশিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। দেশটি চায়, পাকিস্তান ও ভারতের মতো বাংলাদেশের সঙ্গেও তাদের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হোক।