গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) চার বছরপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিস্ফোরণে দগ্ধ আবু হেনা রনিসহ পুলিশ সদস্যের অবস্থা একেবারে আশঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। দুজনের শ্বাসনালী সামান্য পুড়ে গেছে।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাদের দুজনের শরীরে ড্রেসিং করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, আবু হেনা রনির দুই হাত, কান ও মুখমণ্ডলের কিছু অংশসহ শরীরের ২৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। আর পুলিশ সদস্য জিল্লুর রহমানের দগ্ধ হয়েছে ১৯ শতাংশ।
তিনি জানান, তাদের দুজনকে সকালে পঞ্চম তলায় অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে ক্ষতস্থানে ড্রেসিং করা হয়েছে। এরপর তাদেরকে ছয় তলার হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রাখা হয়। তাদের দুজনেরই শ্বাসনালী সামান্য দগ্ধ হয়েছে। তবে সেটি একেবারে গুরুতর নয়। তাদের গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তবে তাদেরকে শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না।
এর আগে শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা পুলিশ লাইনস মাঠে নাগরিক সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা উদ্বোধনের সময় বেলুন বিস্ফোরণে রনিসহ ৫ জন দগ্ধ হন। দগ্ধ অন্যরা হলেন-মোশাররফ হোসেন, ইমরান হোসেন ও রুবেল হোসেন।
জিএমপির সহকারী কমিশনার (ডিবি ও মিডিয়া) আবু সায়েম নয়ন বলেন, মঞ্চের পূর্ব পাশেই ওড়ানোর জন্য কিছু গ্যাস বেলুন রাখা ছিল। প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বেশ কয়েকবার চেষ্টা করার পরও সেগুলো ওড়াতে ব্যর্থ হন। কোনো ত্রুটির কারণে হয়তো বেলুনগুলো তিনি ওড়াতে পারেননি। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্য অতিথিরা অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চের দিকে চলে যান। এরপর বেলুনগুলো নিয়ে যাওয়া হয় উদ্বোধন মঞ্চের পেছনে। কিছুক্ষণ পরই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। উদ্বোধন মঞ্চের পেছনে সব বেলুনই বিস্ফোরিত হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে রনিসহ কয়েকজন আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সহকর্মীরা দ্রুত আহতদের গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।