বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তে মায়ানমারের সেনাবাহিনীর ছোঁড়া মর্টার শেলের আঘাতে এক রোহিঙ্গা নিহত ও পাঁচজন আহত হওয়ার ঘটনার পর সেখানে এখন আতঙ্কাবস্থা বিরাজ করছে। সরিয়ে নেয়া হয়েছে ৪৯৯ এসএসসি পরীক্ষার্থীকে। এছাড়া সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে বিজিবির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
শনিবার সকালে সীমান্ত লাগোয়া ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে নিরাপত্তার কারণে পরীক্ষার্থীদের সেখান থেকে সরিয়ে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, সীমান্তে উত্তেজনা দেখা দেয়ায় টহলের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। স্থানীয়দের যাতায়াতও সীমিত করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া সীমান্ত লাগোয়া একটি কেন্দ্রের ৪৯৯ জন এসএসসি পরীক্ষার্থীকে গাড়িতে করে কুতুপালং পরীক্ষা কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি জানান, সীমান্ত পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ওই পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে দ্রুত পরীক্ষার্থীদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে। স্থানীয়দের নিরাপত্তায় সেখানে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে তুমাব্রু সীমান্তের ৩৪ নম্বর পিলারের কাছে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ছোঁড়া তিনটি মর্টার শেল এসে পড়ে। এগুলোর মধ্যে একটি বিস্ফোরিত হলে জিরো লাইনে থাকা রোহিঙ্গা শিবিরের মোহম্মদ ইকবাল (১৭) নামের এক যুবক নিহত হয়। আহত হয় আরো পাঁচজন। রাতেই তাদের উদ্ধার করে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, গভীর রাত পর্যন্ত সীমান্তে গুলিবর্ষণ ও মর্টার শেল নিক্ষেপ করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। আতঙ্কে জিরো লাইনে থাকা রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের ভূখণ্ডে আশ্রয় নিলেও সকালে তারা আবার শিবিরে ফিরে গেছে। তবে পুরো তুমাব্রু ও ঘুনধুম এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।