চীন ও রাশিয়ার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার উজবেকিস্তানের সমরখন্দে বিশ্বের ক্ষমতাধর দুই দেশের প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা চালানোর পর এই প্রথম চীনের সঙ্গে বৈঠকে বসল মস্কো। বৈঠকে পশ্চিমাদের রুখতে কৌশলগত মিত্রতার ওপর জোর দেন তাঁরা। খবর আল জাজিরা’র
বৈঠকে পুতিনকে চীনের প্রসিডেন্টকে বলেন, পরাশক্তির ভূমিকা গ্রহণের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক চীন। সামাজিক বিশৃঙ্খলার মাধ্যমে নাড়িয়ে দেওয়া বিশ্বে স্থিতিশীলতা অর্জন ও ইতিবাচক শক্তি প্রয়োগে পথপ্রদর্শকের ভূমিকাও পালন করতে চায় বেইজিং।
অপর দিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, এক চীন নীতিতে রাশিয়ার সমর্থন রয়েছে। এছাড়া তাইওয়ান প্রণালিতে যুক্তরাষ্ট্রের উসকানির বিরোধিতা করে তাঁর দেশ। বৈঠকে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের একহাত নেন পুতিন।
এ সময় পুতিন একমুখী বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য সম্প্রতি যে চেষ্টা শুরু হয়েছে, তা পুরোপুরি কুৎসিত এবং অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন পুতিন। এর কয়েক দিন আগে বেইজিংয়ে শীতকালীন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়ে সির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। তাঁরা তখন দুই দেশের সম্পর্ককে ‘সীমাহীন’ বলে অভিহিত করেন। ইউক্রেনে হামলার কারণে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা দেয়। কিন্তু এ সময় পশ্চিমা দেশগুলোর পথে না হেঁটে ভারসাম্যমূলক নীতি বজায় রেখেছে চীন।