মঙ্গলবার দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়। বৃষ্টি ছিল রাতেও। নগরবাসীকে বিভ্রান্ত করেছে বুধবারের ঘুম ভাঙা ভোর। ঘুম ভাঙলেও যেন ভোর নয়, ঘনায়মান সন্ধ্যা এসে দাঁড়িয়েছে সামনে। ঘন কালো মেঘে ছাওয়া দিনের শেষ আলো মুছে যেন বৃষ্টিমুখর রাত নামার অপেক্ষা।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ছয়টা থেকে বুধবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
যদিও ভারতের স্থলভাগে থাকা সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে আগেই সারাদেশে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া বিভাগ। মঙ্গলবার থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ প্রায় সারাদেশেই ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বুধবারও ঢাকাসহ প্রায় সারাদেশে দিনভর বৃষ্টি থাকতে পারে। বৃষ্টির প্রবণতা বৃহস্পতিবার থেকে কমে যেতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রাজধানী উত্তরার দক্ষিণখান এলাকায় মাজার সংলগ্ন রোডে অল্প বৃষ্টিতেই সড়ক ডুবে যায়/ফাইল ছবি
ভারি বৃষ্টির কারণে রাজধানীর মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, ডেমরাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কোনো সড়ক তলিয়ে গেছে পানির নিচে। বৃষ্টি মুখর সকালে চরম দুর্ভোগকে পড়তে হয়েছে অফিসগামী নগরিকদের।
বুধবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে।
এ সময়ে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
রাজধানী উত্তরার দক্ষিণখান এলাকায় মাজার সংলগ্ন রোডে অল্প বৃষ্টিতেই সড়ক ডুবে যায়/ফাইল ছবি
অন্যদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে অধিদপ্তর জানিয়েছিল, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া ও বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়া বিভাগ আরও জানিয়েছিল, ভারতের দক্ষিণ মধ্যপ্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে এটি মধ্যপ্রদেশের মধ্যাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরো পশ্চিম উত্তরপশ্চিম দিকে সরে গিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
একইসঙ্গে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।