ভারত রপ্তানি কমানোয় চালের ব্যবসা অচল, দাম আরও বাড়বে

Slider অর্থ ও বাণিজ্য


ভারত রপ্তানি কমানোয় এশিয়ায় চালের ব্যবসা কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার থেকে খাদ্যপণ্যটি আমদানির চেষ্টা করছেন ক্রেতারা। তবে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের সঙ্গে চুক্তি করছেন না সেসব দেশের বিক্রেতারা। শিল্প-বাণিজ্য কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের সর্ববৃহৎ রপ্তানিকারক ভারত। সম্প্রতি ভাঙা চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটি। সেই সঙ্গে বিভিন্ন গ্রেডের চালের রপ্তানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে নয়াদিল্লি।

সবশেষ মৌসুমে অনাবৃষ্টির কারণে ভারতে ধান রোপণ কমেছে। ফলে উৎপাদন হ্রাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে দেশটিতে চালের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। মূলত তাতে লাগাম টানতে এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে খাদ্যপণ্যটি রপ্তানি সীমিত করেছে তারা।

এরপর এশিয়ার বাজারে চালের দর ৫ শতাংশ বেড়েছে। চলতি সপ্তাহে তা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। কারণ, ক্রেতা-বিক্রেতারা বিপরীতমুখী অবস্থানে রয়েছেন।

ভারতের শীর্ষ চাল রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সত্যম বালাজির নির্বাহী পরিচালক হিমাংশু আগারওয়াল বলেন, এশিয়াজুড়ে চালের ব্যবসা অচল হয়ে পড়েছে। তাই আপাতত ব্যবসায়ীরা তাড়াহুড়ো করে কিছু করতে চাচ্ছেন না।

তিনি বলেন, বিশ্বের চালের চালানের ৪০ শতাংশই করে ভারত। তাই আগামী মাসে ভোগ্যপণ্যটির দাম কতটা বাড়বে তা কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না।

বিশ্বের ৩০০ কোটি মানুষের প্রধান খাদ্য চাল। ২০০৭ সালে তা রপ্তানি নিষিদ্ধ করে ভারত। সেবার প্রতি টন চালের মূল্য রেকর্ড ১০০০ ডলারে পৌঁছে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *