প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে ভারতবাসী ও দেশটির স্বশস্ত্র বাহিনীর আত্মত্যাগের কথা বাংলাদেশ কখনো ভুলে যাবে না।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিল্লিতে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বা গুরুতর আহত ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর অফিসারদের বংশধরদের ‘মুজিব বৃত্তি’ দেয়ার অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশিদের মতো ভারতীয়রাও জীবন দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধে, এই অবদান যাতে কেউ ভুলে না যান, সেই আহ্বান সবার প্রতি। বন্ধুপ্রতিম দেশের এমন আত্মত্যাগের কথা স্মরণ রাখলেই দুদেশের সুসম্পর্ক অটুট থাকবে।
তিনি বলেন, গেল ৫০ বছরে দুদেশের সম্পর্ক মজবুত হয়েছে। প্রতিবেশী দেশের কূটনীতিতে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক বিশ্বে সৌহার্দের নতুন নজির তৈরি করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই বন্ধুত্ব যেন চিরদিন অটুট থাকে, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা। দুই দেশের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন বজায় থাকুক–এটাই চাওয়া।’
এ সময় যুব সম্প্রদায়ের উদ্দেশে তিনি বলেন, দুদেশের যুব সম্প্রদায়ের উচিত অতীত থেকে শিক্ষা নেয়া। ইতিহাস জানতে হবে। কেননা, তারাই হবে নতুন নেতৃত্ব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যেকার সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বের ঊর্ধ্বে এবং গত এক দশকে তা আরও জোরদার হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘গত ৫০ বছরে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার পর, উভয় দেশই ক্রমবর্ধমান বিস্তৃত সেক্টরাল সহযোগিতায় কাজ করছে।’
সামুদ্রিক ও স্থল সীমানা নির্ধারণের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার সমাধান সেই প্রভাবের সাক্ষ্য বহন করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সম্পর্কটি বিশ্বব্যাপী ‘প্রতিবেশী কূটনীতির জন্য রোল মডেল’ হিসেবে পরিচিত।’
তিনি বলেন, ২০০টি মুজিব স্কলারশিপ, দশম শ্রেণিতে ১০০টি এবং দ্বাদশ শ্রেণির স্তরে ১০০টি, যুদ্ধের ভারতীয় প্রবীণ সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাদের বংশধরদের জন্য আমাদের এই শুভেচ্ছা উপহার, যারা আমাদের জন্য ১৯৭১ সালে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন,‘আমরা ভারতীয় ভাইদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে তাদের অমূল্য জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং রক্ত দিয়েছেন। যারা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের স্মরণ করা আমাদের জন্য সর্বদা গর্বের বিষয়। আপনাদের আমার অভিবাদন, হে সাহসী হৃদয়, আমাদের বীরদের!’