একজন ভোক্তা ঘর থেকে বাজারের ভ্যাগ নিয়ে বাজারে যাওয়ার প্রতি পদক্ষেপে প্রতারিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, ভোক্তা ঠকানোর জন্য যে প্রতারণার ছক সাজানো হয়েছে, এ জায়গাগুলোতে কাজ করতে হবে। আমরা সেটাই করার চেষ্টা করছি।
মঙ্গলবার অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় নিত্যপণ্যের মূল্য বিষয়ে সুপারশপের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মহাপরিচালক এসব কথা বলেন।
ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সফিকুজ্জামান বলেন, খোলাবাজারের ৫৮ টাকার চাল সুপারশপগুলোতে সুপার প্রিমিয়াম নামে প্যাকেট করে ৮২ টাকায় বিক্রি করছে। এই সুপার প্রিমিয়াম চালের ক্ষেত্রে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা ও খাদ্য মন্ত্রণালয় তথ্য দিয়েছে। এমন নামে কোনো চাল নেই। সব মোটা চাল ছাঁটাই করে প্রিমিয়াম ও সুপার প্রিমিয়াম চাল বানাচ্ছে। এখানে অনেক কিছু কাজ করার আছে।
তিনি বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে আমি অভিযান পরিচালনা করেছি। অভিযানে গিয়ে দেখি সুপারশপগুলো ইচ্ছা হলে দাম বাড়ায় আবার ইচ্ছা হলে দাম কমায়। তারা পণ্যের এমআরপি যত লিখে দেন, সেই টাকায় বিক্রি করেন। এটা কোনো নিয়ম না। তাদের এই সিস্টেমের প্রভাব লোকাল বাজারে গিয়ে পড়ছে।
মিনিকেট চাল প্রতারণা সংক্রান্ত নিয়ে ডিজি বলেন, মিনিকেট চাল বলতে কোনো চাল বাজারে থাকবে না। আমাদের খাদ্য মন্ত্রণালয় ‘ডিক্লিয়ারেশন’ দিয়েছে, মিনিকেট চাল প্রতারণা বন্ধ করতে হবে। এ নামে কোনো চাল নেই। আমরা অভিযানে নামব। এ বিষয়ে ভোক্তাদেরও একটু সচেতন হওয়া উচিত। মোটা চাল খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত। মোটা চালের ভাত খেতেও মজা। মোটা চাল খেলে এসব মিনিকেট চাল তৈরির সুযোগ থাকবে না।