সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কিংবদন্তী গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে নেয়া হয়েছে।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মরদেহ শহিদ মিনারে নিয়ে আসার পর গার্ড অব অনার দেয়া হয়।
গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে এক নজর দেখতে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ছুটে আসেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষরা। তার মরদেহে ফুল ও শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষি ও সর্বস্তরের মানুষ।
বেলা ১২টায় বিএফডিসিতে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে দুপুর দেড়টায় দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। আসরের নামাজের পর গুলশানের আজাদ মাসজিদে তৃতীয় জানাজা শেষে গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে বনানী কবরস্থানে মায়ের কবরের দাফন করা হবে।
এরআগে গতকাল রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান দেশের কিংবদন্তি গীতিকার, চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন এই গীতিকার। তার মেয়ে দিঠি আনোয়ারও একজন কণ্ঠশিল্পী। ছেলের নাম সারফরাজ আনোয়ার।
১৯৪৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার তালেশ্বর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার।
১৯৬৪ সাল থেকে তিনি তৎকালীন রেডিও পাকিস্তানে গান লেখা শুরু করেন। এখন পর্যন্ত তার রচিত গানের সংখ্যা ২০ হাজারেরও বেশি। তার গানে উঠে এসেছে মুক্তিযুদ্ধ, দেশপ্রেম, প্রকৃতি, জীবনবোধ, প্রেম, বিরহ, স্নেহ, অনুভূতির কথা।
গীতিকার হিসেবে ৬ বার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এছাড়াও ২০০২ সালে একুশে পদক, ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট স্বর্ণপদক, এস এম সুলতান স্মৃতি পদক, একাধিকবার বাচসাস পদকসহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন এই কিংবদন্তী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।