গাজীপুর অফিস: নগর ভবনে হামলা ভাঙচূরের ঘটনায় থানায় দুটি মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামী গ্রেফতারে ষাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে। তবে টেন্ডাবাজী ও চাঁদাবাজীর কারণে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে দেড়’শ কোটি টাকার উন্নয় কাজ অনিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে।
বুধবার( ১৩ মে) রাতে ওই দিন গাজীপুর নগর ভবনে হামলা ভাঙচূরের ঘটনায় আহত ঠিকাদার ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের গাজীপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রিপন বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। একই ঘটনায় সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষও একটি মামলা করেন। উভয় মামলায় আসামী ৩জন করে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ১২ মে থেকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫টি অচ্ঞলে ৬১৪টি গ্রুপে দেড়’শ কোটি টাকার কাজের টেন্ডার হয়। ১২ মে থেকে সিডিউল বিক্রি শুরু হয়। চলবে ১৯মে পর্যন্ত। ২০ মে জমা দেয়ার তারিখ।
সূত্র জানায়, একটি সংঘবদ্ধ চক্র সিডিউল বিক্রয়ে করতে বাঁধা দেয়ায় সিডিউলি বিক্রিকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরে ঠিকাদারদের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। এই সব ঘটনা ভারপ্রাপ্ত মেয়র অবহিত থাকলেও রহস্যজনক কারণে তিনি নীরবতা পালন করেন।
বুধবার দুপুরে আহত বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের গাজীপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রিপন জানান, তিনি মেসার্স কে আর ট্রেডিং এর মালিক । গত বছর মেসার্স এস এস এন্টারপ্রাইজের মালিক শাহজাহান মিয়া সাজু তার নিকট থেকে ৪ লাখ ১৭ হাজার টাকা ধার নেয়। ওই টাকা এখনো তিনি পরিশোধ করছেন না। সম্প্রতি সাজু মিয়া রিপনের একটি কাজের ৯লাখ টাকার চেক সিটি করপোরেশন থেকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে যান। পরে তার কাছে চাঁদা দাবি করেন। ওই ঘটনার জের ধরে বুধবার শাহজাহান মিয়া সাজু নগর ভবনে তার উপর হামলা করে। রিপনকে বাাঁচাতেে এসে রক্তাক্ত জখম হয় রিপনের ভাই আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ আলী ।
বুধবার দুুপরে নগর ভবনে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে দুই কাউন্সিলর সহ কমপক্ষে ৫জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় ভাঙচূর হয়েছে সিটি করপোরেশনের কয়েক কর্মকর্তার কক্ষ।
সরেজমিন দেখা যায়, সংঘর্ষে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান কাজল, এস এম শামসুর রহমান মাসুদ, শহর পরিকল্পনাবিদ সুমনা শারমিন সহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার কক্ষের জানালার কাঁচ ভাঙচূর হয়েছে।
ঘটনার সংবাদ পেয়ে গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুনর রশীদ বিপুল পরিমান পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রেজাউল হাসান সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে সিডিউল কয় নিয়ে হাঙ্গামা সৃষ্টি হওয়ায় ১৪ মে বৃহসপতিবার থেকে ২০ মে পর্যন্ত বুধবার পর্য়ন্ত গাজীপুর নগর ভবনে যে কোন স্বহিংস ঘটনার আশংকা দেখা দিয়েছে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ সাংবাদিকদের বলেছেন, ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোঃ হারুনর রশীদ বলেছেন, অপরাধীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।