মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে দফায় দফায় তলব করেও মিলছে না ফল। বন্ধ হচ্ছে না নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণ। গত কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশ সীমান্তে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছে দেশটি।
এ অবস্থায় ১৫ দিনের মধ্যে তৃতীয় দফায় মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানাল বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বান্দরবান সীমান্তে গত দুই সপ্তাহ ধরে দফায় দফায় চলা উত্তেজনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে সতর্ক করা হয়।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আসেন মিয়ানমার রাষ্ট্রদূত অং কিও মোয়ে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অণু বিভাগের মহাপরিচালক মিয়া মো. মাইনুল কবিরের সঙ্গে দেখা করেন। প্রতিবেশী এ রাষ্ট্রটির নিরাপত্তা বাহিনীর মর্টারের দুটি গোলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে শূন্যরেখার কাছাকাছি পড়ার ঘটনায় ঢাকার পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়।
এছাড়া মাঝেমধ্যে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টারগুলো বাংলাদেশের আকাশসীমা অতিক্রম করে গুলিবর্ষণ করার মতো ঘটনা তো আছেই। এর আগে গতমাসে দুই দফায় মিয়ানমারের ছোড়া মর্টারের গোলার বিস্ফোরিত অংশ ও অবিস্ফোরিত গোলা বাংলাদেশ সীমান্তের ভেতরে পড়ে। সে সময় এ ঘটনাকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে ২১ এবং ২৯ আগস্ট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়।
কিন্তু এ ধরনের সতর্কবাতায় টনক নড়ছে না নেইপিদোর। বরং বেড়েই চলছে গোলাগুলি ও শূন্যরেখা অতিক্রম। এতে আতঙ্কে রয়েছেন সাধারণ মানুষ।
এদিকে মিয়ানমারের রহস্যময় পরিস্থিতিতে সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে।