যুক্তরাষ্ট্র গত আগস্টের কর্মসংস্থানের তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে দেশটিতে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি নাগরিকের চাকরি হয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম কমেছে। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দর বেড়েছে।
এর আগে ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ওঠে মার্কিন মুদ্রার মূল্য। তাতে মূল্যবান ধাতুটিরও দরপতন হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) স্বর্ণের দাম ১ শতাংশ বেড়েছে। এর আগে টানা তিন সপ্তাহ দামি ধাতুটির মূল্য হ্রাস পায়। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড) সুদের হার বাড়ানোর আভাস দেয়ায় চাপে পড়ে বুলিয়ন মার্কেট।
ওই দিন স্পট মার্কেটে আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের দর বাড়ে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ। প্রতি আউন্স বিক্রি হয় ১৭১১ ডলার ১৪৩৮ সেন্টে। তবে সবমিলিয়ে সপ্তাহে গুরুত্বপূর্ণ ধাতুটির দাম ১ দশমিক ৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের সরবরাহ মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ। প্রতি আউন্স বিকিয়েছে ১৭২৩ ডলারের ওপরে।
কিটকো মেটালসের জ্যেষ্ঠ বিশেষজ্ঞ জিম ওয়েকফ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে। বেশি সুদের হার বাড়াতে ফেদকে যা নিরুৎসাহিত করে। এতে স্বর্ণের দাম বেড়েছে। তবে সেটা স্বল্পমেয়াদী হবে।
সদ্য সমাপ্ত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে ৩ লাখ মানুষের চাকরি হওয়ার কথা ছিল। সেখানে হয়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজার জনের।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইউরো, জাপানি ইয়েন, কানাডীয় ডলার, ব্রিটিশ পাউন্ড, সুইডিশ ক্রোনা এবং সুইস ফ্রাঁর বিপরেীতে ডলার সূচক মিশ্র অবস্থানে থেকেছে।
সবশেষ ডলারের দরপতন হয় শূন্য দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রার সূচক দাঁড়ায় ১০৯ দশমিক ৬১। তবে তা সত্ত্বেও এ সপ্তাহে ডলারের দাম শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।