দেশের সব বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণও হতে পারে।
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। পরবর্তী তিন দিন বৃষ্টি প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
এ সময় যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ কমতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শনিবার সর্বনিম্ন ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগের দিন শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া ঢাকায় সর্বোচ্চ ৩৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।
এদিকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের নদীবন্দরগুলোর আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং সিলেট জেলার ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বাড়তি অংশ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
সীতাকুণ্ডে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ফেনীতে ৮০, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৬৮, সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ৬৩, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ৪১, রাজশাহী ৩৯, ময়মনসিংহ ও পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ৩৬, চুয়াডাঙ্গা ও চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ২৭, কিশোরগঞ্জের নিকলিতে ২৫, নীলফামারীর সৈয়দপুরে ২৪, ঢাকায় ২২, নীলফামারীর ডিমলায় ২০, নেত্রকোনায় ১৯, সিলেট ও চট্টগ্রামে ১৭, নোয়াখালীর হাতিয়ায় ১২ এবং নোয়াখালীর মাইজদীকোর্টে ১১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এ ছাড়া টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, পাবনার ঈশ্বরদী, বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রামের রাজারহাট, কুমিল্লা, কক্সবাজার, বাগেরহাটের মোংলা, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী এবং ভোলাসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
ঢাকায় শনিবার দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে, অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। এদিন সকালে ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ।
শনিবার ঢাকায় সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে।