আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আন্দোলন এবং নির্বাচনে ধারাবাহিক ব্যর্থতার পর এখন প্রতিপক্ষ হিসেবে পুলিশকে দাঁড় করিয়েছে। বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি মানেই পুলিশের ওপর হামলা।
বৃহস্পতিবার তার বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আবারো আন্দোলন আন্দোলন খেলা শুরু করেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির আন্দোলন, সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন মানেইতো সহিংসতা আর সন্ত্রাস এবং জনগণের সম্পদ নষ্ট ও নিজেদের মধ্যে মারামারি করা।
তিনি বলেন, বিএনপি যদি জনস্বার্থে আন্দোলন করে, তাদের কর্মসূচি যদি শান্তিপূর্ণ হয় তাহলে সরকার বাধা না দিয়ে বরং সহযোগিতা করবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি মহাসচিবের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, রাজনৈতিক কারণে কাকে, কোথায় গ্রেফতার, হয়রানি করা হয়েছে তা বলুন? অপরাধ করবেন, আবার অপরাধীকে ধরা যাবে না এটাতো হতে পারে না।
অপরাধী, সন্ত্রাসীদের কোনো দলীয় পরিচয় থাকতে পারে না এমনটা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার বিভিন্ন অপরাধে নিজেদের দলের লোকদেরও ছাড় দিচ্ছে না, আর বিএনপি সমর্থিত কোনো অপরাধী, সন্ত্রাসী, মাদক কারবারি গ্রেফতার হলে অভিযোগ কেন?
দেশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের অসংখ্য নজির আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই দেখে, রাজনৈতিকভাবে কোথাও কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না। অপরাধী মানেই দুর্বৃত্ত, দুর্বৃত্ত যে দলেরই হোক শাস্তির আওতায় আনতেই হবে।
‘আন্দোলনের সুনামি হবে’, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব যা বলেন তা কী বিশ্বাস করেন? সুনামি তো দূরের কথা, বিএনপির আন্দোলনের মরা গাঙে জেয়ারই তো আসে না!
বিএনপির রাজনীতিতে এখন ইউরোপের মতো প্রচণ্ড খরা মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢেউ তারা টেমস নদীর পাড় থেকে গুলশান অফিসে তুলতে পারেন, কিন্তু পদ্মা-মেঘনা-যমুনার পলি বিধৌত বাংলায় নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলনের হাঁক-ডাক সোশ্যাল মিডিয়া আর গণমাধ্যমে যতটা গর্জে, বাস্তবে রাজপথে ততটা বর্ষে না।
সূত্র : বাসস