জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদকে বাদ দিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে বিরোধী দলীয় নেতা করার জন্য স্পিকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন দলের ২৩ জন এমপি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্পিকার বরাবর এই প্রস্তাব দিয়েছেন জাতীয় পার্টির এমপিরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু নয়া দিগন্তকে বলেন, জাতীয় পার্টির মোট ২৬ জন এমপির (নারী আসনসহ) মধ্যে ২৩ জন এতে স্বাক্ষর করেছেন। বাকি তিনজনের মধ্যে রওশন এরশাদ ম্যাডাম এবং তার ছেলে সাদ এরশাদ (রাহগীর আল মাহি) রয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের এমপি সেলিম ওসমান বিদেশে থাকার কারণে স্বাক্ষর করতে পারেননি। তবে তার সম্মতি রয়েছে।
হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর চলতি দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে আছেন রওশন এরশাদ। আর বিরোধী দলীয় উপনেতার আসনে রয়েছেন জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
রওশন এরশাদ বর্তমানে থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন। সেখান থেকেই বুধবার জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় কাউন্সিল আহ্বান করে নিজেকে আহ্বায়ক ঘোষণা করেছেন। আর এ নিয়েই সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিতে অস্থিরতা তৈরি হয়।
বুধবার রাতেই এক বিবৃতিতে জিএম কাদেরের পক্ষ থেকে বলা হয়, পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রওশন এরশাদ কোনোভাবেই এই কাউন্সিল ঘোষণা করতে পারেন না।
এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীস্থ কার্যালয়ে পার্টির মহাসচিব মো: মুজিবুল হক চুন্নু এমপি’র জন্মদিনের অনুষ্ঠানে জিএম কাদের এমপি বলেন, জাতীয় পার্টি এখন যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি ঐক্যবদ্ধ ও সংগঠিত। গণমানুষের প্রত্যাশা পূরণে এগিয়ে যাবে জাতীয় পার্টি। কোনো ষড়যন্ত্রই জাতীয় পার্টির ঐক্যে ফাটল সৃষ্টি করতে পারবে না। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সৈনিকেরা ষড়যন্ত্রে কখনোই বিভ্রান্ত হবে না। কোনো ষড়যন্ত্রে মাথা নত করবে না জাতীয় পার্টি। সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে আমরা এরশাদের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।
এ সময় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, সুনীল শুভরায়, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, অ্যাডভোকেট মো: রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরীফা কাদের এমপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।