প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার দুপুরে বলেন, ছাত্রলীগ সম্পর্কে অনেক সমালোচনা হয় গণমাধ্যমে; এতে দলের দুর্নাম হয়। ছাত্রদল নিয়ে সেভাবে লেখা হয় না। গ্রুপ বাড়ানোর জন্য ছাত্রলীগে যেন কোনো আলতু-ফালতু কেউ না আসতে পারে তার ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের যেকোনো আন্দোলন-সংগ্রামে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে ছাত্রলীগ।
ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্র রাজনীতি করতে হলে ইতিহাস জানা একান্ত প্রয়োজন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ যেন বজায় থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতেও ছাত্রনেতাদের নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা।
বুধবার (৩১ আগস্ট) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ছাত্রলীগ আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনায় তিনি একথা বলেন। যমুনা টিভি ও সময় টিভি
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। সঠিক নেতৃত্ব দিতে হলে নিজেদের আদর্শ বুকে ধারণ করে সবাইকে গড়ে তুলতে হবে। অর্থসম্পদের পেছনে ছুটলে, দেশকে কিছু দেয়া সম্ভব হয় না।
ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন ধান কাটার লোক পাওয়া যাচ্ছিল না তখন খবর দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রলীগের ছেলেমেয়েরা ধান কাটতে মাঠে নেমে গেছে এবং কৃষকের ঘরে ধান পৌঁছে দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। করোনার সময় যেখানে লাশ ফেলে আত্মীয় পালিয়ে যায় সেখানে আমাদের ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসার ব্যবস্থা, অক্সিজেনের ব্যবস্থা, রোজার মাসে খাবার ব্যবস্থা সব আমাদের ছাত্রলীগ করেছে।
এ সময় ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গ-মাতার ঐতিহাসিক ভূমিকার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সংগ্রামের পথ বেয়ে দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন সংগঠনকে শক্তিশালী করতে। ছাত্রলীগ সম্পর্কে অনেক কথা লেখা হয়। বড় সংগঠন, অনেক লোক ঢুকে গেছে। গ্রুপ বাড়ানোর জন্য আলতু-ফালতু লোক দলে ঢুকাবেন না।
তিনি বলেন, আরও ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখি হতে হবে বিশ্বকে। তখন টাকা দিয়েও খাবার কেনা সম্ভব হবে না। তাই সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে।
চাওয়া-পাওয়ার ঊর্ধ্বে উঠে আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করতে হবে। টাকার পেছনে ছুটলে দেশকে কিছু দেয়া যাবে না বলেও ছাত্রলীগে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।