গান শুনতে শুনতে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফলে এগিয়ে : জরিপ

লাইফস্টাইল


পরীক্ষায় ভালো ফলাফল পেতে পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই। তবে পড়ার পাশাপাশি গান শুনলে নাকি আরও ভালো ফল করা যায়। এমনটাই দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের এক জরিপে।

মার্কিন সংবাদ মাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটি-গ্লোবালের টিচিং অ্যান্ড লার্নিংয়ের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ডক্টর ক্রিস্টিনা অ্যাগভেন্ট এ জরিপের নেতৃত্ব দেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ২ হাজার শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলার পর ওই জরিপের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ওই জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, যেসব শিক্ষার্থী নিয়মিত গান শোনে তারা বেশি জিপিএ পেয়েছে।

উত্তরদাতাদের ৬০% বলেছেন পড়ার সময় গানের শব্দ থাকলে তাদের পড়াশোনা আরও ভালো হয়। লস অ্যাঞ্জেলেসের জরিপে অংশ নেয়া ৮০ ভাগের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, কাজ বা পড়ার সময় গান শোনার অভ্যাস ওষুধের মতো কাজ করে।

জরিপে বিশেষজ্ঞরা জানতে চান, গান শোনার অভ্যাস কার্যকরী হলেও এ ক্ষেত্রে কোন গান বেশি কার্যকরী হয়ে ওঠে। এতে তারা লক্ষ্য করেন, ক্লাসিক গান শোনার অভ্যাস করলে এ সময় বেশি উপকার পাওয়া যায়। আর সবচেয়ে কম কার্যকরী হয় পপ সংগীত শোনার অভ্যাস থাকলে।

এজন্যে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সময় সংগীত শোনার অভ্যাস গড়ে তোলার ওপর বেশি জোর দেন গবেষক ড. ক্রিস্টিনা অ্যাগভেন্ট।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তার শিক্ষাজীবনে পড়ার সময় গান শোনার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। এই অভ্যাস শুধু পরীক্ষায় ভালো ফলের ক্ষেত্রেই কার্যকরী হয় না, এটি মস্তিষ্কের কার্যকারিতার প্রক্রিয়ায়ও উন্নতি ঘটায়।’

শুধু গানই নয়, কেউ কেউ পড়াশোনার সময় অন্য শব্দও শুনতে পছন্দ করতেন। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ প্রকৃতির শব্দ, ২৬ শতাংশ বাস্তব জীবনের শব্দ এবং ২৪ শতাংশ মানুষ পডকাস্ট শুনতে পছন্দ করতেন।

পরিচালক ক্রিস্টিনা অ্যাগভেন্ট বলেন, বিভিন্ন ধরনের মাধ্যমকে শিক্ষার্থীরা নিজেদের পড়াশোনার অভ্যাসে যুক্ত করতে পারেন। হতে পারে তা স্পটিফাইয়ে থাকা যন্ত্রসংগীত, ইউটিউবে হালকা ধরনের কিংবা বৃষ্টির শব্দ বাজিয়ে প্রশান্তিময় মেডিটেশন।

শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ পড়ার ধরনের সঙ্গে মানানসই পথ বেছে নিতে হবে বলে মনে করেন ক্রিস্টিনা অ্যাগভেন্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *