গোটা ইউরোপে জ্বালানির মূল্য আকাশছোঁয়া পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ মুহূর্তে অঞ্চলটিতে এনার্জি পণ্যগুলোর তীব্র সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় বিপুল পরিমাণ গ্যাস পুড়িয়ে ফেলছে রাশিয়া।
বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশন (বিবিসি) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, প্রতিদিন ফিনল্যান্ড সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত একটি প্ল্যান্টের বিপুল পরিমাণ গ্যাস পুড়িয়ে ফেলছে রাশিয়া।
প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলার। অতীতে এ প্ল্যান্ট থেকে জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহ করা হতো। বর্তমানে তা বন্ধ করা হয়েছে।
গ্যাস পোড়ানো ধোঁয়া থেকে ব্যাপক পরিমাণে কার্বন-ডাই-অক্সাইড সৃষ্টি হচ্ছে। এতে পরিবেশের ওপর বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা।
তারা বলছেন, রুশ প্ল্যান্টের গ্যাস পোড়ায় আর্টিক অঞ্চলের বরফ গলে যেতে পারে। ফলে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রিস্টাড এনার্জি সংস্থা জানিয়েছে, প্ল্যান্টটি থেকে প্রতিদিন গড়ে ৪ দশমিক ৩৪ মিলিয়ন কিউবিক মিটার গ্যাস পুড়ে যাচ্ছে।
ধারণা করা হচ্ছে, প্লান্টটিতে কোনো কারিগরী ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ফলে তাতে জমা থাকা গ্যাস থেকে বিপদ এড়াতে পুড়িয়ে ফেলা হতে পারে। তবু জ্বালানি পণ্যটি রপ্তানি করছে না রুশ কর্তৃপক্ষ।
এ অবস্থায় ইউরোপে ব্যাপক জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে। এ অঞ্চলে তেলের মজুত কমে গেছে। গ্যাস সরবরাহ নেই বললেই চলে। কয়লা আমদানিও উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে।
‘মরার ওপর আবার খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দেখা দিয়েছে তীব্র খরা। গত ৫০০ বছরের মধ্যে যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।