স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার স্বাস্থ্যের কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) বেলা ১১টা ১ মিনিটে অধিদফতরের ফেরিভায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাইলডাক্টে প্রদাহজনিত অসুস্থতার চিকিৎসার জন্য ERCP করার পর বিভিন্ন ধরনের জটিলতা তৈরি হয়েছিল, যার ফলে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে এবং ডায়ালাইসিস করা হচ্ছে। তবে উনি গত দুদিন কিছুটা ভালো আছেন। এছাড়া উনার CT রিপোর্টও ভালো এসেছে, যদিও বাঁ দিকের ফুসফুস কিছুটা আক্রান্ত।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও অন্য কর্মকর্তারা তার পরিবারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন জানিয়ে বিবৃতিতে সেব্রিনা ফ্লোরার অসুস্থতার বিষয়ে গুজব না ছড়ানোর জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হয়।
প্রসঙ্গত, গুরুতর অসুস্থ হয়ে সেব্রিনা ফ্লোরা সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গত রোববার (২১ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম জানান, আগে থেকে কোলানজাইটিস বা বাইলডাক্টে প্রদাহজনিত অসুস্থতার কারণে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন ফ্লোরা। এতে কিছু জটিলতা দেখা দেয়ায় সেখানে ভর্তি করা হয়েছে।
অধ্যাপক ফ্লোরা স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক। ২০২০ সালের মার্চে দেশে মহামারি করোনার প্রকোপ শুরুর পর সবার কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেন অধ্যাপক ড. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির হালনাগাদ তথ্য নিয়ে প্রতিদিনই সংবাদ সম্মেলন করতেন তিনি। দিতেন সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশবাসীর উদ্দেশে নানা পরামর্শও দিতেন এ কর্মকর্তা।
১৯৮৩ সালে মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। এমবিবিএস পাসের পর অস্থায়ীভাবে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। এর ফাঁকে রোগতত্ত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম) থেকে। এরপর সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগ দেন বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলে। তিন বছর পর অধ্যাপনা শুরু করেন নিপসমে। এরপর পিএইচডি করেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ২০১৬ সালে মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা পরিচালক হিসেবে যোগ দেন আইইডিসিআরে।
করোনার আগে জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময়ও তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সালে চিকুনগুনিয়ার সময়ও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।