সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে নির্বাচন করতে হবে, এ কথা সংবিধানে বলা হয় নাই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। তিনি বলেন, সংবিধানে বলা আছে যারা আগ্রহী তাদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, কোনো দলের হয়তো সক্ষমতা নাও থাকতে পারে। আমাদের দিনক্ষণ গুণে নির্বাচন করতে হবে। কোনো দলের বা একাধিক দলের অভ্যন্তরীণ সমস্যা থাকতে পারে। অপেক্ষা করেন, এখনো তো এক বছর সময় আছে, তারা আসতেও পারে।
মো. আলমগীর বলেন, কোনো একটা দল না এলেও আমাদের নির্বাচন করতে হবে। না হলে সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ী হবো। আমরা বলবো কোনো দল এলেও নির্বাচন হবে, না এলেও নির্বাচন হবে। কারো নাম উল্লেখ করবো না। আমরা বলবো, যেকোনো দল না এলেও নির্বাচন হবে।
ইসি আলমগীর আরও বলেন, বর্তমানে সক্ষমতা আছে ৭০ থেকে ৮০ আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করার। কতটা হবে তখন বলা যাবে। দেখা গেল মেশিন হয়েছে বা সক্ষমতা নেই তাহলে ৭০-৮০টাও হতে পারে, আবার ৫০টাতেও হতে পারে। তবে ১৫০টির ওপরে হবে না। মিনিমাম ধরে রাখেন ৭০-৮০টা। কোনো কারণে যদি আমরা নতুন মেশিন কিনতে না পারি, কেননা হার্ডওয়ার পুরোটাই বিদেশ থেকে আসে। তারা যদি না দিতে পারে। তখন হয়তো আর কিনতে পারবো না। আবার ফান্ড যদি না পাই তাহলেও তো কিনতে পারবো না। ১৫০টি আসনের জন্য আনুমানিক আরও প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ ইভিএম কিনতে হবে। বিদেশি কোম্পানি কত দাম চায়, প্রশিক্ষণের বিষয় আছে, ওই সময় ডলারের দাম কত থাকবে এসব বিষয় নিয়ে প্রকল্প নেয়া হবে।
সেনা মোতায়েনের বিষয়ে তিনি বলেন, তারা ইভিএমে কারিগরি সহায়তা দিতে ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে। এছাড়া অন্য কোনো ভূমিকায় রাখার সুযোগ নয়। যেখানে প্রয়োজন আছে, সেখানে ডাকলে চলে আসবে। কেননা, তাদের কাজ বাদ দিয়ে তো তাদের নামাতে পারবো না। এতো লোকবল তো তাদের নেই। পুলিশ, বিজিবি, আনসারের মতো তো প্রতি কেন্দ্রে তাদের রাখা সম্ভব নয়। আমরা তাদের সহায়তা নেবো। সরকারকে সে বিষয়ে প্রস্তাব দেবো। সে সহায়তা দেয়ার তাদের আইন অধিকার আছে এবং আমাদের নেয়ার অধিকার আছে তার পুরোটাই নেব। আইন অনুযায়ী, তারা সহায়তা দিতে বাধ্য। পুলিশ যখন উত্তেজিত জনতাকে কন্ট্রোল করতে না পারলে সেনার সহায়তা চাওয়া হয়। সেটাই নিয়ম। সেটাই আইনে বলা আছে।