পশ্চিমা বিশ্বে মন্দার শঙ্কায় ধস নেমেছে বিশ্ব তেলের বাজারে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যাপক বৃদ্ধি পেলেও বর্তমানে তা নেমে এসেছে আগের দরে। ইরানের সঙ্গে পশ্চিমাদের পরমাণু আলোচনায় অগ্রগতিরও প্রভাব পড়েছে তেলের বাজারে।
বুধবার (১৭ আগস্ট) অপরিশোধিত তেলের আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট বা ডব্লিউটিআই ক্রুড এর দাম নেমে আসে প্রতি ব্যারেল ৮৭ ডলারে। সর্বশেষ গত ১ ফেব্রুয়ারি এ দরে বিক্রি হয় ডব্লিউটিআই ক্রুড। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গত মার্চ মাসে যা উঠে গিয়েছিল প্রতি ব্যারেল ১৩০ ডলারে।
দাম কমেছে অপরিশোধিত তেলের অপর আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক ব্রেন্টক্রুডেরও। গত ২৭ জুলাই প্রতি ব্যারেল ১০৭ ডলারে বিক্রি হওয়া এ তেল বুধবার (১৭ আগস্ট) বিক্রি হয় ৯২ ডলারে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গত ৮ মার্চ এর দাম উঠে গিয়েছিল প্রতি ব্যারেল ১৩৯ ডলারে।
মূলত পশ্চিমা বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোতে অর্থনীতির সূচকগুলো দুর্বল হয়ে পড়ায় এর প্রভাব পড়েছে তেলের চাহিদায়। জুলাই মাসে গত দেড় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রের গৃহনির্মাণ খাতের প্রবৃদ্ধি। পাশাপাশি জার্মানি, ইংল্যান্ড, ফ্রান্সসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বেড়ে গেছে মূল্যস্ফীতি। এসবের প্রভাবে ব্যাহত হচ্ছে দেশগুলোর শিল্প উৎপাদন। যার কারণে কমে গেছে তেলের চাহিদা।
পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ইরান ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে আলোচনার ইতিবাচক অগ্রগতিরও প্রভাব পড়েছে তেলের দামে। সোমবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাসের কানানি জানান, আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে সমঝোতা হলে তুলে নেয়া হতে পারে ইরানের তেল রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা।