বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেয়া ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সফররত জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক এবং তাদের সেখানে ফিরিয়ে নিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার তাদের রোহিঙ্গা নাগরিকদের অস্বীকার করছে না, আবার তাদের স্বদেশে ফিরিয়েও নিচ্ছে না।
ব্যাচেলেট বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা নাগরিকদের শিক্ষার এবং কাজের সুযোগ বাড়ানো প্রস্তাব করেন।
কক্সবাজারে এ ধরনের উদ্যোগ সম্ভব নয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী সফররত জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার প্রধানকে জানান, ভাষানচরে এমন পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। সেখানে তাদের উন্নত মৌলিক সুবিধা দেয়া হচ্ছে। যেখানে ইতোমধ্যে ২০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
প্রেস সচিব বলেন, তারা উভয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, রোহিঙ্গা সঙ্কট, জলবায়ু পরিবর্তন এবং নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসঙ্ঘের হাইকমিশনারকে বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর মৌলিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করে বাংলাদেশ দীর্ঘকাল সামরিক শাসনের অধীনে ছিল।’
হত্যাকাণ্ডের পর ক্ষমতা দখলকারী শাসকদের মাধ্যমে যেকোনো আদালতের বিচার থেকে খুনিদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে। ১৫ আগস্টের গণহত্যার পর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন করা হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মা-বাবাসহ পরিবারের সবাইকে হারানো এবং বিদেশে থাকায় তিনি ও তার ছোট বোন প্রাণে বেঁচে থাকার কথা প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস এবং ঢাকায় জাতিসঙ্ঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়ান লুইস উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : ইউএনবি