বরগুনা: জাতীয় শোক দিবসে বরগুনায় জেলা ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিপেটার ঘটনায় আরও পাঁচজন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।
গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, বরগুনা সদর থানার এএসআই সাগর, পুলিশ লাইন্সের কনস্টেবল রাফিউল ও ডিবি পুলিশের কনস্টেবল কেএম সানি এই তিনজনকে প্রত্যাহার করে ভোলা জেলা পুলিশে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া ডিবি পুলিশের এএসআই ইসমাইল ও ডিবি পুলিশের কনস্টেবল রুহুল আমিনকে প্রত্যাহার করে পিরোজপুর জেলা পুলিশে সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি বরগুনা পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এর আগে মঙ্গলবার দুুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীকে প্রত্যাহার করে প্রথমে বরিশাল রেঞ্জে এবং পরে চট্টগ্রাম রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়।
এদিকে, বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগ জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। গতকাল রাত ৮টার দিকে পৌর সুপার মার্কেটের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে এ ঘোষণা দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বরগুনা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত ও পদপ্রাপ্তদের সমর্থকদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ইটের আঘাতে পুলিশের গাড়ির গ্লাস ভেঙে যায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ভেঙে যাওয়া গ্লাসের ক্ষতিপূরণ ও অপরাধীর বিচারের কথা জানান। তবে তার উপস্থিতিতেই পুলিশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। পুলিশের বেধড়ক লাঠিপেটার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
এ ব্যাপারে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী হাছান অবশ্য বলছেন, শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছিল মাত্র। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এস এম তারেক রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।