ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম উপকূলে দু’টি নৌকা থেকে নারী ও শিশুসহ ৫০০ অবৈধ অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তারা মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম বলে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে। আচেহ প্রদেশের মানতাং পুনতংয়ে তাদের রোববার সকালে আনা হয়। উদ্ধারের সময় তারা পানিতে ভাসছিল। জেলেদের কাছ থেকে খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত শুক্র ও শনিবার থাইল্যান্ডের গভীর জঙ্গল থেকে ১২৩ বাংলাদেশীসহ প্রায় ১৫০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়।
জাকার্তার অভিবাসী-সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থার উপ-প্রধান স্টিভ হ্যামিল্টন জানান, দু’টি নৌকা থেকে রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করা হয়েছে। একটি নৌকায় প্রায় ৪৩০ জন ও অন্যটিতে ৭০ জন ছিল। এদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। তিনি আরো জানান, ত্রাণকর্মীরা সেখানে পৌঁছেছেন। উদ্ধার হওয়াদের অনেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাদের দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন।
উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের পাচার করা হচ্ছিল বলে উল্লেখ করেছেন মিয়ানমারের আরাকান প্রজেক্টের প্রধান ক্রিস লেওয়া।
তিনি জানান, মানবপাচারকারীদের থামার প্রধান স্থান ছিল থাইল্যান্ড। সেখানকার গহীন অঞ্চলে বিদেশগামীদের আটকে রেখে নির্যাতন করে স্বজনদের কাছ থেকে অর্থ নেয়া হতো। কিন্তু সম্প্রতি থাইল্যান্ড সরকারের তল্লাশি অভিযানের কারণে তারা ওখানে যাচ্ছে না। বর্তমানে পাচারকারীরা বিদেশগামীদের নৌকার ভেতরেই আটকে রেখে তাদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে অর্থ আদায় করছে বলে লেওয়া জানান।
তিনি আরো জানান, মানবপাচারকারীরা বর্তমানে মালাক্কা প্রণালীতে প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশীকে আটকে রেখেছে।