রাজধানীর উত্তরায় বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের গার্ডার চাপায় নিহত ৫ জনের মধ্যে ৪ জনের দাফন তাদের গ্রামের বাড়ি জামালপুরে সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাতে স্থানীয়ভাবে জানাজার পর তাদের দাফন করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে জামালপুরের ইসলামপুর ও মেলান্দহ উপজেলায় পৌঁছায়। রাত ১১টায় মেলান্দহ উপজেলার আখপয়লা গ্রামে নববধূ রিয়ার খালা ঝর্নাসহ দুই শিশুর জানাজা সম্পন্ন হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাদেরকে দাফন করা হয়।
নববধূ রিয়ার মা ফাহিমার লাশ রাত পৌনে ১২টায় গ্রামের বাড়ি ইসলামপুরে পৌঁছায়। পরে ঢেংগারগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাযা শেষে পারিবরিক কবরস্থানে তার দাফন করা হয়।
এর আগে গত সোমবার (১৫ আগস্ট) উত্তরার জসীম উদ্দীন মোড়ে আড়ংয়ের সামনে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ফ্লাইওভারের গার্ডার পড়ে নিহত হন প্রাইভেট কারে থাকা ৫ জন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (১৩ আগস্ট) বিয়ে হয় হৃদয় এবং রিয়া মনির। ১৫ আগস্ট বৌভাত শেষে হৃদয়ের বাবা রুবেল মিয়া প্রাইভেটকার চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রাইভেটকারে ছিলেন হৃদয়, রিয়া, রিয়ার মা ফাহিমা (৩৭), তার খালা ঝর্না (২৮) এবং ঝর্নার দুই সন্তান জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। পথে উত্তরার জসীম উদ্দীন মোড়ে আড়ংয়ের সামনে পৌঁছালে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ফ্লাইওভারের গার্ডার পড়ে নবদম্পতি হৃদয় ও রিয়া ছাড়া সবাই মারা যান। তবে গুরুতর আহত হন নবদম্পতি।
পরিবারের ৪ সদস্যকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ সবাই।
এদিকে, একইসঙ্গে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হারিয়ে নিঃস্ব ঝর্ণার স্বামী জাহিদ। কোনো শান্তনাই যেন বাঁধ মানছে না।
তিনি বলেন, আগামী শুক্রবার ঢাকায় গিয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের বাড়িতে নিয়ে আসার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ এমন দুর্ঘটনায় এভাবে সবাইকে হারিয়ে ফেলব, তা কোনোদিনই ভাবিনি।
তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
প্রসঙ্গত, কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই দুর্ঘটনা বলে দাবি স্বজনদের।