রাজধানীর উত্তরায় বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের গার্ডারে চাপা পড়ে নিহত রুবেল হোসেনের বাড়ি মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রাম বলে দাবি করেছেন তার স্বজনরা। যদিও এলাকায় তাকে চেনেন আইয়ুব আলী নামে।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) নিহতের স্বজনরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার (১৪ আগস্ট) ঢাকার উত্তরায় তার ছেলে হৃদয় আলীর বউভাত শেষে প্রাইভেটকার করে ছেলে ও ছেলের বউকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য রওনা দেন তিনি। পথিমধ্যে গার্ডারচাপায় তার মৃত্যু হয়। এ সময় আহত হন তার ছেলে হৃদয় আলী ও তার বউ।
নিহতের স্বজনরা জানান, প্রায় ২২ বছর আগে গার্মেন্টসে চাকরি জন্য গ্রাম থেকে ঢাকায় চলে যান রুবেল হোসেন। সেখানে দীর্ঘদিন চাকরির পর বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা শুরু করেন। গত ১০ থেকে ১২ দিন আগেও তিনি গ্রামে এসেছিলেন।
এ মন দুর্ঘটনায় ক্ষোভ বিরাজ করছে নিহতদের স্বজনদের মাঝে। তাদের দাবি, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও কর্মরত শ্রমিকদের অবহেলার কারণে এমন দুর্ঘটনা হয়েছে।
হৃদয়ের খালাতো ভাই রাকিব হোসেন বলেন, গত শনিবার হৃদয় ও রিয়ার বিয়ে হয়। স্ত্রী ও স্বজনদের নিয়ে আশুলিয়ায় শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন হৃদয়। পথেই এ ঘটনা ঘটে।
তিনি আরও বলেন, বিয়ে বাড়ির আনন্দ উৎসব শেষ না হতেই পুরো পরিবারে বিভীষিকা নেমে এসেছে। আমাদের কিছু বলারও ভাষা নেই।
প্রসঙ্গত, সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে উত্তরা জসীম উদ্দীন এলাকায় আড়ংয়ের সামনে ক্রেন দিয়ে একটি গার্ডার ওপরে ওঠানো হচ্ছিল। এ সময় ক্রেন উল্টে সেটি প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে। গার্ডার পড়ে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে প্রাইভেটকারের ভেতরে থাকা সাতজনের মধ্যে পাঁচজন নিহত হয়।
নিহতরা হলেন রুবেল (৬০), ফাহিমা (৪০), ঝরনা (২৮), জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। বেঁচে যাওয়া দুইজন হচ্ছেন নবদম্পতি হৃদয় ও রিয়া মনি। গত শনিবার তাদের বিয়ে হয়।