গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য যেখানে আইজিপিসহ ৭ কর্মকর্তাকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, সেখানে তাদেরকে না সরিয়ে বেতন ও অন্যান্য সুবিধা বাড়িয়েছেন সরকার। প্রশাসনের নির্ভরতায় রাজনীতে দুর্বৃত্তায়ন ঘটিয়েছে ফ্যাসিবাদী এই সরকার। তাই আমরা রাস্তায় নেমেছি। জীবন দিয়ে হলেও শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ থেকে দেশকে মুক্ত করব।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে যুবঅধিকার পরিষদ আয়োজিত নাটোরে কর্মী হত্যার প্রতিবাদে প্রতীকী লাশের মিছিলে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘নেত্র নিউজে প্রকাশিত ‘আয়নাঘর’ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কীভাবে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকেরা ভিন্ন মতের মানুষকে গুম করে আবু গরীব কারাগারের মতো করে বন্দী করে রেখেছে। এভাবে তারা আরেকটি কারাগার তৈরি করেছে। অথচ চাটুকারেরা চুপ করে আছে। টেলিভিশন ও মিডিয়ার কোথায়ও এ নিয়ে আলোচনা হয় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত ১৩ বছরে ৬ শতাধিক মানুষকে গুম করা হয়েছে। এখনো এক শতাধিক মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। অর্ধশতাধিক মানুষের লাশ পাওয়া গেছে। এই প্রত্যেকটা গুম খুন রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থারা করেছে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রাখার জন্য।’
নুর বলেন, ‘হত্যার প্রতিবাদের নিউজ সাংবাদিকরা করছে না। সেটি করা নাকি অফিস থেকে নিষিদ্ধ। মিডিয়া কী তাহলে পরিমনি আর ভংচং কভার করবে। তারা যা তৈরি করে দিবে সেটাই জনগণকে খাওয়াতে চাচ্ছে। যে কারণে আজ মিডিয়া শুধু বঙ্গবন্ধুর আলোচনা নিয়ে আছে। এটি ভালো। এটি নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। কিন্তু এই সরকার যে ৬ শতাধিক মানুষকে গুম করেছে সেটি নিয়ে আলোচনা নেই। আজকে শেখ হাসিনাকে খুশি রাখার জন্য সবাই চাটুকারিতায় ব্যস্ত।’
তিনি আরও বলেন, দেশে আজ মানুষ মারার উন্নয়ন চলছে। গতকাল গার্ডারের নীচে পরে ৫ জন মারা গেছেন। কোনো ঘটনা ঘটলে মন্ত্রীরা বলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব। এখানেই শেষ। এটি নিয়ে আর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়না। দেশে আইন প্রণেতারা আজ আইন মানে না।
প্রতীকী লাশের মিছিলে বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খান, ফারুক হাসান, তারেক রহমান, মাহফুজুর রহমান, মশিউর রহমানসহ যুব অধিকার পরিষদের নেতারা।