ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় এক শিশুকে (১১) ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে তাকে ১ নম্বর আমলি আদালতে নিলে বিচারক ফারুক হোসেন কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে রোববার (১৪ আগস্ট) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃত ব্যক্তি রাসেল বোয়ালমারী উপজেলার বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, রোববার বিকেলে রাসেল মুদি দোকান থেকে ১৫০ টাকার পণ্য বাকিতে কেনেন শিশুটি। তবে সন্ধ্যায় দোকানদারের বাড়িতে শিশুটিকে (১১) বাকির টাকা নিয়ে যেতে বলেন। পরে শিশুটি গেলে রাসেল তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণের পর ওড়না প্যাঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
এদিকে স্থানীয়রা একই দিন রাত ১১টার দিকে রাসেলের বাড়ির বাথরুম থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, শিশুটি রোববার বিকেলে বাড়ির পাশের দোকানে গিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে আনে। পরে সন্ধ্যায় দোকানদার পাওনা টাকা ফেরত দেওয়ার নাম করে কিশোরীকে ডেকে নেয়। এরপর তাকে টয়লেটে নিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
নিহত শিশুর বাবা বলেন, হাত-পা বাঁধা অবস্থায় রাসেলের ঘরের বাথরুম থেকে মেয়েকে উদ্ধার করি। রাসেলের ফাঁসি চাই।
ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা-মধুখালী সার্কেল) সুমন কর বলেন, আজ সোমবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য জানা যাবে।
তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত রাসেলকে রোববার রাতেই আটক করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।