রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ফ্লাইওভারের গার্ডার পড়ে একটি প্রাইভেটকারের চার আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আরও দুই যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেল জসীম উদ্দীন মোড়ে আড়ংয়ের সামনের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উত্তরার পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে আছি। গাড়ি থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ভেতরে আরও দুজন থাকার আশঙ্কা করছি।
প্রাথমিকভাবে তাদের পরিচয় জানা গেছে, গাড়িতে ৬ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনি (২১) নামে দুজনকে আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তাদের ভাষ্যমতে, প্রাইভেটকারের ভেতরে রুবেল (৫০), ঝর্না (২৮), দুই শিশু জান্নাত(৬) ও জাকারিয়া (২) গাড়ির ভেতরে চাপা পড়েছে। ফায়ার সার্ভিস গাড়িতে চাপাপড়াদের উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
উত্তরা পশ্চিম থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, চারজনের মরদেহ গাড়ির ভেতরেই চাপা পড়ে রয়েছে। এ ছাড়া দুজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের অবস্থা ভালো।
ফায়ার সার্ভিস বলছে এই ক্রেন দিয়ে গার্ডারটি তোলার সময় সেটি ছিটকে প্রাইভেটকারে পড়ে যায়। তাতেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার দেওয়ান আজাদ হোসেন সংবাদমাধ্যমকে জানান, ক্রেন দিয়ে গার্ডার উঠানোর কাজ চলছিল। এ সময় প্রাইভেটকার নিচ দিয়ে যাচ্ছিল। তখন ক্রেনটির এক পাশ উল্টে গার্ডারটি ছিটকে গাড়ির ওপরে পড়ে।
দুর্ঘটনার একটি ভিডিও পাওয়া গেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, বিআরটি প্রকল্পের একটি গার্ডার ভেঙে পড়েছে খয়েরি রঙের একটি প্রাইভেটকারের ওপর। ভারী গার্ডার মাঝ বরাবর পড়ায়, প্রাইভেটকারটি একদম চ্যাপ্টা হয়ে গেছে। রাস্তায় জমাট রক্ত দেখতে পাওয়া যায়। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া গাড়িটি উদ্ধারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও চেষ্টা করতে দেখা যায়।
গত ১৫ জুলাই গাজীপুরে একই প্রকল্পের ‘লঞ্চিং গার্ডার’ চাপায় এক নিরাপত্তারক্ষী নিহত হন। এ দুর্ঘটনায় এক শ্রমিক ও একজন পথচারী আহত হন।