শ্রীলঙ্কার সাবেক মন্ত্রী ও ফ্রিডম পার্টির (এসএলএফপি) সেক্রেটারি দয়াসিরি জয়সেকারা বলেছেন, এসএলপিপি‘র (শ্রীলঙ্কা পোডু জনা পেরামুনা) হাতে বন্দি বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে। তিনি তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, ২০২৫ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদ পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত সংসদ ভেঙে দেবেন না। তিনি এসএলপিপি‘র হাতে বন্দি হয়ে আছেন।
স্থানীয় ডেইলি মিররকে রোববার তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘প্রশাসন এবং এসএলপিপি’র মধ্যে এই চুক্তি দেশের জনগণের সমস্যার সমাধান বা অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনবে না। বরং পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ করে তুলবে। তাই আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক বা এডিবি’র মতো বৈশ্বিক আর্থিক সংস্থাগুলো থেকে সাহায্যের পাশাপাশি চীন, ভারত, ইউ অথবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দাতা দেশগুলো থেকে সাহায্য নিয়ে একটি ঋণ পুনর্গঠন কর্মসূচি গঠন করে দেশকে এই দুর্দশার হাত থেকে কিভাবে মুক্ত করবে, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।’
জয়শেকারা আরো বলেন, ‘প্রস্তাবিত বহুদলীয় বা সর্বদলীয় সরকার গঠন এবং রোড ম্যাপ সম্পর্কে আমরা এখনো অন্ধকারে রয়েছি। আমরা প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের সাথে আলোচনায় অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠন সংক্রান্ত ৯ এবং ১১ দফা সম্বলিত দুটি নথি জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু এসএলএফপি এমন কোনো প্রশাসনকে সমর্থন করতে প্রস্তুত নয়, যা এসএলপিপি’র রাজনৈতিক এজেন্ডাকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এসএলপিপি পুনরুজ্জীবিত করার ম্যান্ডেট রনিলের নেই। তাই শ্রীলঙ্কায় একটি নতুন সরকার গঠনের মাধ্যমে শিগগিরই পরিবর্তন প্রয়োজন।