রাতে মহাসড়কে চলবে না তাকওয়া পরিবহন

Slider গ্রাম বাংলা


শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে রাতে তাকওয়া পরিবহনসহ জেলা ভিত্তিক আঞ্চলিক পরিবহন চালানো হবে না বলে জানিয়েছেন জেলার পরিবহন ও শ্রমিক নেতারা। রাতে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।

রোববার বেলা ১২টায় শ্রীপুর উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা চৌরাস্তায় মাওনা হাইওয়ে থানা-পুলিশ কর্তৃক আয়োজিত এক মত বিনিময় সভায় এমন সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। সড়ক-মহাসড়কে বাসে ডাকাতি, দস্যুতা, ছিনতাই ও ধর্ষণ প্রতিরোধে করণীয় সংক্রান্তে পরিবহন মালিক, চালক-সহকারী ও শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে মাওনা হাইয়ে থানা।

মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সার্জেন্ট শিবু নাথ সরকার, সাংবাদিক আব্দুল মালেক, সাংবাদিক মো. জামাল উদ্দিন, শ্রমিক লীগ নেতা মুজিবুর রহমান, মো. জালাল উদ্দিন, ফরিদ আহমেদ, শ্রীপুর পৌর আওয়ামী লীগ নেতা জুয়েল মাহমুদ আসিফ, গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন কার্যকরী কমিটির সহসভাপতি আবুল হোসেন পালোয়ান ও হাজী মোহাম্মদ হারেছ উদ্দিন প্রমুখ।

গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন কার্যকরী কমিটির সভাপতি মো. ইমান আলী তাঁর বক্তব্যে বলেন, সম্প্রতি তাকওয়া পরিবহনে ছিনতাই ও গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। যা গাজীপুরের পরিবহন ইতিহাসে কখনো ঘটেনি। এটা পরিবহন সেক্টরের জন্য লজ্জাজনক। এ ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তাই সকল চালক ও সহকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র, ছবি সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ছাড়াও রাত ১১টার পর মহাসড়কে তাকওয়া পরিবহন চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রতিদিন রাতে শ্রমিক নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত দুটি টিম ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তদারকি করছেন। সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে যারা রাতে পরিবহন চালাবে তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন কার্যকরী কমিটির সভাপতি সুলতান উদ্দিন আহমেদ মোবাইলে বলেন, ‘যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আমরা রাত ১১টার পর মহাসড়কে জেলা ভিত্তিক আঞ্চলিক পরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাতে মানুষের কোনো ঝুঁকি না থাকে, গাড়িতে ডাকাতি না হয়, ধর্ষণ, অসদাচরণ না হয়। সাংগঠনিক এ সিদ্ধান্ত আমরা গত পাঁচ দিন যাবৎ বেশ গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবায়ন করে আসছি। রাতে জেলা ভিত্তিক আঞ্চলিক পরিবহন চলাচল বন্ধে একটি মোবাইল টিম গঠন করে দিয়েছি। মোবাইল টিম দুটি মাইক্রোবাসে করে তারা সার্বক্ষণিক টহল দিতে থাকে। এ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গাতে পাহারাদার নিয়োগ করা হয়েছে। এটা আমাদের সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত। যে গাড়িগুলো সিদ্ধান্ত না মেনে চলাচল করবে, সেই গাড়িগুলোকে আমাদের লোকেরা আটক করে নির্দিষ্ট ডাম্পিং পয়েন্টে নিয়ে আটকে রাখবে। পরদিন ওই গাড়ি চলাচল বন্ধ করে চালককে সাসপেন্ড করা হবে।’

সুলতান উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, লাইসেন্সের তথ্য, জাতীয় পরিচয়পত্র, স্থায়ী ও বর্তমানর তথ্য সংবলিত একটি ডেটাবেইস গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও প্রত্যেকটি তাকওয়া পরিবহনে জিপিএস ট্র্যাকার লাগানো আছে, গাড়িটি কোথায় কীভাবে যাচ্ছে, কোনো সড়ক ধরে চলাচল করছে তার বিস্তারিত জিপিএস ট্র্যাকারের মাধ্যমে জানতে পারব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *