বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল। ঢেউয়ের তোড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যাচ্ছে সমুদ্র সৈকত রক্ষার জিওটিউব ও জিওব্যাগ। উপকূলীয় এলাকাগুলোতে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও ২ থেকে ৪ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। এদিকে, নদীবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর বিপদসংকেত দেখানো হয়েছে।
আবারও ফুঁসে উঠেছে সাগর। ঢেউ আছড়ে পড়ছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে।
লঘুচাপের কারণে রোববার (১৪ আগস্ট) সকাল থেকে বইছে ঝড়ো হাওয়া। সেই সঙ্গে উত্তাল ঢেউয়ের তোড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যাচ্ছে সমুদ্র সৈকত রক্ষার জিওটিউব ও জিওব্যাগ।
এরমধ্যেই ট্যুরিস্ট পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে উত্তাল সমুদ্রে ঝুঁকি নিয়ে গোসলে নামেন পর্যটকরা।
এছাড়াও পূর্ণিমার জোয়ারের পানিতে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেয়ার নির্দেশনা জেলা প্রশাসনের। অন্যদিকে নিম্নচাপের কারণে তিন থেকে চার দিন ধরে জেলেরা ট্রলার নোঙর করে রাখলেও গত দুদিন ধরে ঝুঁকি নিয়েই সমুদ্রে মাছ শিকারে নেমে পড়েছেন।
এদিকে, বরিশালের আকাশও সকাল থেকেই কালো মেঘে ছেয়ে ছিল। এতে নগরে কখনো মুষল ধারায় বৃষ্টি নামে কখনো বা গুঁড়ি গুঁড়ি। বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে জলাবদ্ধতায় ভোগান্তিতে পড়েন শহরবাসী।
নদ-নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় নদীবন্দরে কোথাও ২ নম্বর কোথাও ৩ নম্বর বিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে ঝালকাঠিতে নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। ভোলায় অতি জোয়ারের পানিতে ২০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। এদিকে, বৈরী আবহাওয়ায় মোংলা বন্দরে পণ্য বোঝাই-খালাস ও পরিবহন কাজ ব্যাহত হয়।