সিঙ্গাপুর থেকে থাইল্যান্ডে গেছেন শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। তবে দেশটিতে তিনি কোনো রাজনৈতিক আশ্রয় চাননি। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মুখে গত মাসে তিনি দেশ থেকে পালিয়েছেন। এরপর এক দেশ থেকে আরেক দেশে তাকে আশ্রয় নিতে দেখা যাচ্ছে।
মধ্য-জুলাই থেকে সিঙ্গাপুর ছিলেন গোতাবায়া। দেশ ছেড়ে তিনি প্রথমে মালদ্বীপে পা রাখেন, সেখানে তাকে আশ্রয় না দিতেও বিক্ষোভ হয়েছিল। পরে মালদ্বীপ থেকে সিঙ্গাপুরে যান তিনি। এবার সিঙ্গাপুর থেকে থাইল্যান্ডে পা রেখেছেন সাবেক এ লঙ্কান প্রেসিডেন্ট।
এক জ্যেষ্ঠ থাই কর্মকর্তার বরাতে আল-জাজিরার খবর বলছে, একটি প্রাইভেট বিমানে করে শুক্রবার (১১ আগস্ট) স্থানীয় সময় রাত ৮টায় তিনি ব্যাংককের ডন মুয়েং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
চল্লিশ মিনিট পর বিমানবন্দরের ভিআইপি সেকশন থেকে স্ত্রীসহ বেরিয়ে আসতে দেখা যায় তাকে। এরপর একটি ব্ল্যাক সেডান গাড়িতে ওঠে বসেন গোতাবায়া।
বুধবার থাইল্যান্ডের কর্মকর্তারা বলেন, তাকে ঢোকার অনুমতি দিতে শ্রীলঙ্কা সরকারের তরফে অনুরোধ এসেছে। থাইল্যান্ডে অস্থায়ীভাবে থাকার অনুমোদন দেয়া হয়েছে তাকে।
থাই প্রধানমন্ত্রী প্রেয়ুথ চান-ওচা বলেন, গোতাবায়া রাজাপাকসের সফর নিয়ে তিনি অবগত। মানবিক কারণে তাকে থাইল্যান্ডে ঢোকার সুযোগ দেয়া হয়েছে। সাবেক লঙ্কান প্রেসিডেন্ট তৃতীয় কোনো দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চাচ্ছেন।
তবে থাইল্যান্ডে থাকাকালে গোতাবায়া কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেবেন না বলেও জানিয়েছেন থাই প্রধানমন্ত্রী। নিজের ভ্রমণ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি গোতাবায়া।
দেশের অর্থনৈতিক পতনের সুরাহা ও গণতান্ত্রিক সংস্কারের দাবিতে শ্রীলঙ্কায় একটানা কয়েক মাস সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের বাসভবন দখল করে রেখেছিলেন বিক্ষোভকারীরা। এতে প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টসহ মন্ত্রিপরিষদের অধিকাংশ সদস্য পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।