বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমলেও দেশে কমছে না, উল্টো আরো বাড়ানোর প্রস্তাব উঠেছে। এর কারণ হিসেবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় এর সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। তারপরও ট্যারিফ কমিশন বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমেছে। কিন্তু আমাদের দেশে ডলারের দামটা বেড়ে গেছে। তাই যে সুফলটা পাওয়ার কথা, সেটা পাওয়া যাচ্ছে না। তারপরও ট্যারিফ কমিশন পুরো বিষয়টি চেক করবে।
শিগগিরই ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয় হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শিগগিরই তারা (ট্যারিফ কমিশন) বসবে। ওরা (তেল ব্যবসায়ীরা) তো একটা দাবি (প্রতি লিটারে ২০ টাকা বাড়ানো) দিয়েছে, সেটা জাস্টিফাইড কিনা সেটা এক সপ্তাহের মধ্যে ট্যারিফ কমিশন বসে ঠিক করবে।’
পরিবহন খরচ বাড়ার অজুহাতে রাজধানীতে পণ্যের দাম অনেক বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো তদারকি আছে কিনা জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা তো বাণিজ্য মন্ত্রণালয় করবে না। কতটুকু বাড়ার কথা সেটা সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় ঠিক করছে। আরো আলোচনা চলছে, এক্সাক্টলি কত হওয়া উচিত।’
টিপু মুনশি বলেন, ‘আশপাশের দেশের সঙ্গে সমন্বয় করেই জ্বালানি তেলের দাম ঠিক করা হয়েছে। এখনো যদি ধরা হয় ডিজেলের দাম আজকের বাজারে প্রতি লিটারে আট টাকা করে লোকসান হচ্ছে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বৈঠকে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী তার হিসাব দিয়েছেন, এই মুহূর্তে কী দাম হয়েছে এবং আশেপাশের দেশে কী দাম আছে। সেটাতে দেখা গেছে প্রতিবেশী দেশ থেকে আমাদের দেশে দাম কম আছে।’