রাজধানীর তুরাগের কামারপাড়ার ভাঙারির দোকানে বিস্ফোরণ থেকে আগুন লেগে দগ্ধ হওয়া শফিকুল ইসলাম (২৫) নামের আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ নিয়ে বিস্ফোরণে দগ্ধ আটজনের মধ্যে সাতজনেরই মৃত্যু হলো।
শফিকুল নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার মজিবর রহমানের ছেলে। তিনি তুরাগের কামারপাড়া এলাকায় থাকতেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, শফিকুল ইসলামের শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
এর আগে গত শনিবার (৬ আগস্ট) বেলা পৌনে ১২টার দিকে তুরাগ কামারপাড়া রাজাবাড়ি পুকুরপাড় এলাকায় গাজী মাজহারুলের রিকশার গ্যারেজের ভেতরে গড়ে তোলা ভাঙারির কারখানায় এই বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ঘটনার দিন রাতেই মারা যায় আলমগীর হোসেন আলম (২৩) ও নূর হোসেন (৬০) নামের দুজন।
এর পরদিন রোববার ভোরে গাজী মাজহারুল ইসলাম (৪৭) ও রাতে মারা যায় মিজানুর (৩৫)। আর সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মাসুম আলী (৩৫) ও এদিন দিবাগত রাত ৩টায় মারা যান আল আমিন (৩০)। মৃতদের মধ্যে মাজহারুল ছিলেন- ভাঙারির দোকানের লাগোয়া রিকশা গ্যারেজের মালিক, আর বাকিরা রিকশাচালক।