জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর থেকে লাগাম নেই নিত্যপণ্যের বাজারে। ক্রমেই অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে কাঁচামরিচসহ সব ধরনের সবজির বাজার। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বরগুনার বেতাগী উপজেলার পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের হাটবাজারগুলোতে দ্রব্যের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি পেয়েছে।
কাঁচামরিচের দাম ব্যাপক বাড়ায় এ উপকূলীয় অঞ্চলের নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের পক্ষে কাঁচামরিচসহ অন্যান্য জিনিসপত্র কেনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গত কয়েক দিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে কাঁচামরিচের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজি। আজ মঙ্গলবার সকালে বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, একদিকে সরবরাহে ঘাটতি, অন্যদিকে চাহিদা বেশি। এ কারণে দাম বেড়েছে। তবে বাড়তি এই দাম বেশি দিন থাকবে না বলে আশা করছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়, জাতভেদে ৩০০ টাকায়।
দাম বাড়া নিয়ে বিষয়ে পৌর শহরের বিক্রেতা ভবরঞ্জন ঢালী জানান, বৃষ্টি না হওয়ার কারণে কাঁচামরিচের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। বর্তমানে বেতাগীতে যে মরিচ পাওয়া যাচ্ছে এগুলো বরিশাল থেকে এসেছে বলে দাবি করেন তিনি।
খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, বেতাগীতে চাহিদার তুলনায় বাজারে কাঁচামরিচের সরবরাহ কম। এ কারণে দাম বেড়েছে। মরিচ ছাড়াও কাঁচাবাজারগুলোতে প্রায় সব ধরনের সবজির কেজি অন্তত ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে কাঁকরোল ৫০, বরবটি ৬০, কাঁচকলা ৩০, মিষ্টি কুমড়া ৫০, গাজর ১৪০, পটল ৬০, আলু ২৮-৩০, লাউ প্রতিটি ৫০-৬০, লাউশাক প্রতি আঁটি ২০ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ এসব সবজি গত সপ্তাহেও প্রতি কেজি ৪৫-৫০ টাকার মধ্যে ছিল বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।
পৌর শহরে বাজার করতে আসা জাকির হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, কাঁচামরিচসহ জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বাড়তেছে, মানুষ এসব পণ্য কিনবে কিভাবে? দাম পাইকারিতে বাড়ায় খুচরা ব্যবসায়ীদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুহৃদ সালেহীন বলেন, কাঁচামরিচসহ কাঁচাবাজারের সকল ধরনের পণ্যের দাম অতিরিক্ত নিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাজার নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে।