কিউবার তেলের ডিপোর ভয়াবহ আগুন নেভাতে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকো ও ভেনেজুয়েলা। পাশে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া, নিকারাগুয়া, আর্জেন্টিনা ও চিলিও। বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর সহায়তায় আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চলে এসেছে দেশটির কর্তপক্ষ। খবর রয়টার্সের।
শুক্রবার (৫ অগস্ট) গভীর রাতে হাভানা থেকে প্রায় ৬০ মাইল পূর্বে অবস্থিত মাটাজানাস সুপার ট্যাংকার বন্দরে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। ফলে আটটি ট্যাংকের একটিতে আগুন ধরে যায়। যা থেকে ঘটে প্রবল বিস্ফোরণ। তা থেকে বিশাল আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো জ্বালানি ডিপোতে।
এই অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ১২১ জন আহত হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ১৭ জন দমকলকর্মী নিখোঁজ হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আশপাশের এলাকা থেকে প্রায় ১ হাজার ৯০০ জনকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নেয়া হয়।
কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল ডিয়াজ ক্যানেল বলেন, ‘আমরা এমন তীব্রতার আগুনের মুখোমুখি হয়েছি যে কিউবার তা নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন। আমাদের কাছে প্রয়োজনীয় সব উপকরণ নেই।’
রোববার (৭ আগস্ট) জ্বালানি অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে দক্ষ মেক্সিকোর ৮২ জন ও ভেনেজুয়েলার ৩৫ জন বিশেষজ্ঞ কিউবার আগুন নিয়ন্ত্রণ তৎপরতায় যোগ দেন। সঙ্গে করে চারটি বিমানভর্তি আগুন নিয়ন্ত্রণকারী রাসায়নিক নিয়ে এসেছেন তারা।
মেক্সিকো ও ভেনেজুয়েলার পাশাপাশি রাশিয়া, নিকারাগুয়া, আর্জেন্টিনা ও চিলির সরকারও বিভিন্ন অগ্নিনির্বাপক উপকরণ দিয়ে কিউবার পাশে দাঁড়িয়েছে। সহায়তার জন্য দেশগুলোর সরকারকে ধন্যবাদ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল।
কিউবার রাষ্ট্রীয় তেল সংস্থা বলেছে, তাদের দেশ এর আগে কখনও এত বড় অগ্নিকাণ্ডের সম্মুখীন হয়নি। সংস্থার পরিচালক আসবেল লিল জানান, প্রথম ট্যাঙ্কটিতে প্রায় ২৬ হাজার কিউবিক মিটার অপরিশোধিত তেল ছিল। দ্বিতীয়টিতে ৫২ হাজার কিউবিক মিটার জ্বালানী তেল ছিল।
কিউবার সরকারি সংবাদপত্রে বলা হয়েছে, দুটি ট্যাঙ্কেই বজ্রপাতরোধী ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু ওই ব্যবস্থায় ত্রুটি দেখা দেয়ায় তা বজ্রপাতের শক্তি সহ্য করতে পারেনি।