ঢাকা: ডলারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয়ের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
এতে প্রতি লিটার বোতলজাত ভোজ্যতেলের দাম ২০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে লিটার প্রতি ২০ টাকা বাড়িয়ে সয়াবিন তেলের দাম ১৮৫ টাকা থেকে ২০৫ টাকা করার কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া খোলা সয়াবিন তেল ১৬৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮০ টাকা এবং পাঁচ লিটারের বোতল ৯১০ টাকা থেকে ৯৬০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এবিষয়ে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনেরর উপপ্রধান মো. মাহমুদুল হাসান জানান, রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন আমাদের কাছে তেলের দাম বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব দিয়েছে। এটা রেগুলার প্রতি মাসেই তারা করে। তাদের আবেদনটি প্রক্রিয়া অনুসরন করে আমার কাছে আসবে, এরপর আমরা সেটি পর্যালোচনা করব। তারা প্রস্তবনায় ১০০ টাকাও বাড়ানোর কথা বলতে পারে। কিন্তু পর্যালোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।
বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বলছে, টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলার দাম ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ফলে ভোজ্যতেলের আমদানি মূল্য বেড়ে গেছে। তাই ডলার বাড়তি দাম অনুযায়ী তেলের মূল্য সমন্বয়ের জন্য বলা হয়েছে। ৩ আগস্ট আমরা প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। সেটি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে সিটি গ্রুপের পরিচালক (করপোরেট ও রেগুরেটরি অ্যাফেয়ার্স) বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, সস্প্রতি ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয়ের জন্য আমাদের একটি প্রস্তাব ট্যারিফ কমিশনে পাঠানো হয়েছে। টাকার বিপরীতে ডলার দাম ব্যাপক বেড়েছে। বর্তমানে ডলারের দাম ১১২ টাকা। তাই দাম সমন্বয় প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রীও আজকে বলেছেন আমাদের সাথে বসে আলোচনা করে তেলের দাম সমন্বয় করবেন। আমাদের এই প্রক্রিয়াটি চলমান। প্রতি ১৫ দিন পর পর আমরা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসে দাম সমন্বয় করে থাকি। আমরা মাত্র দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছি। সেটা আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেবে।