জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমের মৃত্যুর প্রতিবাদে ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালের শুরুতে ঝটিকা মিছিল করেছে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে শহরের মহাজন পট্টি জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে মিছিল করে তারা।
এ সময় মহাজন পট্টি জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি বের হয়ে সদর রোডের বাংলাস্কুল মোড় পর্যন্ত ঘুরে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলকারীরা হরতালের সমর্থনে স্লোগান দেয়।
সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ভোলা শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিলের খবর পাওয়া গেছে। এর বাইরে কোথাও হরতালের সমর্থনে মিছিল বা পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি। তবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্কুল কলেজ খোলার সময় না হওয়ায় রাস্তাঘাট অনেকটা ফাঁকা ও শান্ত রয়েছে।
এদিকে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জেলা বিএনপি কার্যালয়সহ শহরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গত ৩১ জুলাই ভোলায় জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ভোলা সদর হাসপাতাল ও পরে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে দুদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বুধবার (৩ আগস্ট) বিকেল ৩টায় মারা যান নুরে আলম।
এর আগে রোববার ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবদুর রহিম। ওই সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
এদিকে নুরে আলমের মৃত্যুর খবরে ভোলা জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। বিকেল সাড়ে ৪টায় নিহত আলমের চরনোয়াবাদের বাসার এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। মিছিলটি শহরে মহাজন পট্টি এলে জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা তাতে অংশ নেন।
মিছিলকারীরা চকবাজারের মাথায় তাৎক্ষণিক এক প্রতিবাদ সভা করে জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সকাল-সন্ধ্যা ভোলায় হরতালের ঘোষণা দেন।
এদিকে নুরে আলমের মৃত্যুর খবর ভোলায় পৌঁছার পরপরই শহরে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। নির্বাহী মাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে রয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।