ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলমের মৃত্যুর ঘটনায় সকাল-সন্ধ্যা ডাকা হরতালের সমর্থনে টায়ারে আগুন দিয়ে সড়ক অবরোধ করেছে ছাত্রদল। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে।
বুধবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সদর রোডে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। নেতা-কর্মীদের বৃহস্পতিবারের হরতাল সফল করতে শ্লোগান দিতে দেখা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভোলা সদর রোডের কালীনাথ বাজার এলাকায় দলীয় কর্যালয়ের সামনে হরতালের সমর্থনে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা প্রায় আধাঘণ্টা টায়ার জালিয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় ভোলার বিভিন্ন অংশে যানজটের সৃষ্টি হয়। হরতালের কথা শুনে মানুষের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, হরতাল সমর্থন করে কিছু লোক সড়কে টায়ার জালিয়ে বিক্ষোভ করে। তবে পুলিশ দেখে দশ মিনিটের মধ্যে তারা তা নিভিয়ে সড়ক স্বাভাবিক করে দেয়। আর ককটেল বিস্ফোরণের যে কথা বলছেন তা আসছে সঠিক নয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, হরতালের নামে কেউ যেন বিশৃঙ্খলা না করতে পারেন এ জন্য কোস্টগার্ড, র্যাব ও পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে।
প্রসঙ্গত, ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলমের মৃত্যুর ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে জেলা বিএনপি। ৩১ জুলাই বিএনপির দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভোলা জেলা বিএনপির আয়োজনে প্রতিবাদ সমাবেশের পরে বিক্ষোভ মিছিল করার চেষ্টা চালালে পুলিশের সাথে সংর্ঘষ শুরু হয়।
এতে পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে ৩০ রাউন্ড গ্যাসশেল ও ১৬৫ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে। এতে ওই দিনই স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম নিহত হন। গুরুত্বর আহত হন বেশ কয়েকজন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
অবস্থার অবনতি হলে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলমকে ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ওদিকে সংঘর্ষে বিএনপির ৩৭৫ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে দুটি মামলা করে ভোলা সদর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক জসীম। মামলায় এখন পর্যন্ত ১১ জন গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।