ঢাকা: ইউরিয়া সারের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে দেশের সব জেলা-উপজেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ কৃষক সমিতি। আগামী ৪ থেকে ১০ আগস্ট এ কর্মসূচি চলবে।
বুধবার (৩ আগস্ট) বাংলাদেশ কৃষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত ইউরিয়া সারের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন কৃষক সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম এ সবুর। বক্তব্য রাখেন কৃষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, সহ-সভাপতি নিমাই গাঙ্গুলী, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হোসেন খান, সহসাধারণ সম্পাদক আবিদ হোসেন, সহসাধারণ সম্পাদক সুকান্ত শফি চৌধুরী। সভা সঞ্চালনা করেন নির্বাহী কমিটির সদস্য মানবেন্দ্র দেব।
বক্তারা বলেন, কৃষক ফসল উৎপাদন করে বাজার সিন্ডিকেটের কবলে পরে সার-বীজ-কীটনাশক-সেচ বেশি দামে কিনে নিয়মিত লোকসান দিয়ে আসছে। কৃষি উৎপাদনের অন্যতম উপকরণ সার, এই সারের ডিলাররা অতি মুনাফার লোভে সংকট সৃষ্টি করে কৃষকের কাছে বেশি দামে সার বেচে। এরই মধ্যে সরকার ১৬ টাকা কেজি ইউরিয়া সার ৬ টাকা বাড়িয়ে ২২ টাকা করেছে। শতকরা হিসেবে প্রায় ৩৮ ভাগ দাম বাড়ায় কৃষকের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে। আগামী বোরো মৌসুমে অতিরিক্ত দামে সার কেনার দুশ্চিন্তায় অনেক কৃষক ধান উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হচ্ছে।
তারা বলেন, সরকারি সার কারখানাগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। ফলে আমদানি নির্ভরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চট্টগ্রাম সার কারখানা ইতোমধ্যে উৎপাদন বন্ধ করেছে। আশুগঞ্জ সার কারখানাও পুরনো যন্ত্রপাতি দিয়ে চলে এবং সেখানে উৎপাদন প্রায়ই বন্ধ রাখতে হয়।
তারা আরও বলেন, অন্যান্য খাতে ভর্তুকি সমন্বয় করে সারসহ কৃষি উপকরণে ভর্তুকি বাড়ানো প্রয়োজন। জাতীয় আয়ে কৃষক সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখে। জাতীয় বীর কৃষককে রক্ষা করার জন্য অবিলম্বে ইউরিয়া সারের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করতে হবে। সারের ডিলারদের সিন্ডিকেট ভেঙে বিএডিসির মাধ্যমে সারসহ সব প্রকার কৃষি উপকরণ বিতরণ করতে হবে।
বক্তারা আগামী ৪ থেকে ১০ আগস্ট সারাদেশে কৃষক সমিতির উদ্যোগে জেলা-উপজেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করার জন্য জেলা-উপজেলা নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।