অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মারধরের শিকার হন বেসরকারি টেলিভিশন ডিবিসি নিউজের স্টাফ রিপোর্টার সাইফুল ইসলাম জুয়েল। এ ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার তিনজনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া অপর পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
যাদের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে তারা হলেন- কাওছার ভূঁইয়া (৪২), মো. সুমন মিয়া (২৬) ও মো. মাসুম বিল্লাহ।
বুধবার (৩ আগস্ট) আটজনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের পাঁচদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক রূপ কর। অপর দিকে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে তিন আসামির একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এছাড়া অপর পাঁচজনের রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া পাঁচ আসামি হলেন- মো. হাফিজ (২৮), মো. মহসিন ভূঁইয়া (২৫), মো. মাহবুব হোসেন (২৪), মো. আসিফ আকবর (২৭) ও মো. মাকসুদুল্লাহ (২৮)।
এর আগে মঙ্গলবার বেসরকারি টেলিভিশন ডিবিসি নিউজের স্টাফ রিপোর্টার সাইফুল ইসলাম জুয়েল বাদী হয়ে ভিক্টর ট্রেডিং করপোরেশনের এই আটজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন।
রাজধানীর তালতলা এলাকায় ভিক্টর ট্রেডিং করপোরেশনের মেডিকেলের যন্ত্রাংশ কেনাকাটায় অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ডিবিসি নিউজের স্টাফ রিপোর্টার সাইফুল ইসলাম জুয়েল ও ভিডিওগ্রাফার আজাদ আহমেদ হামলার শিকার হন। এ সময় ক্যামেরা ভাঙচুর ও ফুটেজ ডিলিট করে দেন হামলাকারীরা। এ ঘটনায় থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আটজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এরপর ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিক থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে তিনি আটজনের নাম উল্লেখ করেন।
থানায় দেওয়া অভিযোগে সাইফুল ইসলাম লিখেছেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভিক্টর ট্রেডিং করপোরেশনের মেডিকেল সরঞ্জামাদি ক্রয় ও সরবরাহে অনিয়মের বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করতে যাই। তখন আসামিরা আমার সঙ্গে থাকা ভিডিও ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, মোবাইল, মানিব্যাগ ও পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেন। এরপর তারা আমাদের এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি, গলা চেপে ধরে এবং লাথি মেরে জখম করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন। এছাড়াও ক্যামেরায় ধারণ করা সব ভিডিও ফুটেজও তারা মুছে ফেলেন।
ভিক্টর ট্রেডিং করপোরেশন জাতীয় নাক, কান ও গলা ইনস্টিটিউটের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ায় অনুসন্ধানে যায় ডিবিসি নিউজ।