সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় শুরু হওয়া আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দুপুর ২টা পর্যন্ত সাময়িক স্থগিত রেখেছেন তারা।
রাত ৩টায় বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ।
এর আগে রাত দেড়টার দিকে হামলায় জড়িত দুইজনকে আটক করে পুলিশ। আটকরা হলেন, নগরের মুন্সিপাড়ার মৃত রানা আহমদের ছেলে মো. সাঈদ হাসান রাব্বী (২৭) ও কাজলশাহ এলাকার আব্দুল হান্নানের ছেলে মো. এহসান আহমদ।
আজবাহার আলী শেখ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা দুজনকে আটক করেছি। হামলায় জড়িত বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। মেডিকেলের চলমান আন্দোলন স্থগিতের আগে শিক্ষার্থীদের একটি পক্ষের সাথে বৈঠকে বসে কলেজ প্রশাসনসহ, স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও পুলিশের একটি প্রতিনিধি দল।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের পরিচালক ও কলেজের অধ্যক্ষের কাছে শিক্ষার্থীরা ৫ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। তাদের দাবি বাস্তবায়নের পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিলে মঙ্গলবার বেলা ২টা পর্যন্ত তারা আন্দোলন স্থগিত করেন।
বৈঠকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে অংশ নেওয়া মেডিকেলের পঞ্চম বর্ষের ছাত্র সানী ঢাকা পোস্টকে জানান, সড়কের অবরোধ তুলে নেওয়া হয়েছে ও হাসপাতালের সেবা স্বাভাবিক রয়েছে। যেহেতু হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবিকে সমর্থন করেছেন সেহেতু আমরা আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করলাম।
উল্লেখ্য, দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের প্রতিবাদে সোমবার (১ আগস্ট) দিবাগত রাত ১০টা থেকে সড়ক অবরোধ করে রাখেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে এ অবরোধ কর্মসূচিতে যোগ দেন হাসপাতালে কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। পরবর্তীতে রাত দেড়টার দিকে হামলায় জড়িত দুইজনকে আটক করে পুলিশ।