ঢাকার যেসব এলাকায় কোভিডে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেশি হয়েছে সে এলাকায় ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকা আগে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
সোমবার (১ আগস্ট) সকালে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
খুরশীদ আলম বলেন, শুরুতে ঢাকা শহরের কিছু বিদ্যালয়ে এ টিকা দেওয়া হবে, এভাবে পর্যায়ক্রমে সারা দেশে দেওয়া হবে।
তিনি জানান, শিশুদের টিকা নিয়ে আসাদের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করা আছে। আমাদের হাতে পর্যাপ্ত টিকাও মজুদ আছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক দেশে এলেই দিনক্ষণ ঠিক করে আমরা টিকা কার্যক্রম শুরু করবো।
এদিকে গত ২৫ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। দেশে এই বয়সী শিশুদের সংখ্যা আছে ৪ কোটি ৪০ লাখ। এদের দেয়ার জন্য ৪ কোটি ১০ লাখ টিকার নিশ্চয়তা স্বাস্থ্য বিভাগ পেয়েছে। শিশুদের দুই ডোজ করে টিকা দেয়া হবে। এর জন্য টিকার প্রয়োজন হবে ৮ কোটি ৮০ লাখ ডোজ।
এদিকে, নভেম্বরের পর আর কোনো ব্যক্তিকে করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকা না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সময়ের পর শুধুমাত্র বুস্টার বা তৃতীয় ডোজের জন্য উপযুক্ত ব্যক্তিরাই টিকা পাবেন।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে এখনো প্রায় দেড় কোটি টিকা মজুত আছে। বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করা টিকার ব্যবহারের মেয়াদ নভেম্বরে শেষ হবে। তাই নভেম্বরের পর আর প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকা ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, দেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৩ লাখ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, দেশে জনসংখ্যার ৭৬ শতাংশ করোনার টিকার প্রথম ডোজ এবং ৭১ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছে। আর ২৩ শতাংশ পেয়েছে বুস্টার ডোজ।