আশরাফ হোসেন পল্টু,শ্রীপুর( মাগুরা )প্রতিনিধি: মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সরইনগর ও খোর্দ্দরহুয়া গ্রামে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ফরিদ উদ্দিন মোল্যা গ্রুপের আলাউদ্দিন শেখ (৫৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু ঘটনায় প্রতিপক্ষ প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য আবু বক্কার মোল্যাসহ তার সামাজিক দলের লোকজন ফরিদ সমর্থকদের নির্যাতন ও পুলিশ আতংকে গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে । ফলে বক্কার মোল্যা গ্রুপের শতাধীক পরিবার পূরুষ শূণ্য হয়ে পড়েছে । অধিকাংশ পরিবারের বাড়ি-ঘর তালাবদ্ধ অবস্থায় থাকলেও কিছু কিছু পরিবারে নারী ও শিশুদের বসবাস করতে দেখা যায়। বক্কার মোল্যা গ্রুপের পূরুষ মানুষ বাড়ি-ঘরে না থাকার সুযোগে প্রতিপক্ষ ফরিদ উদ্দিন মোল্যা গ্রুপের লোকজন অব্যাহতভাবে তাদের বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করছে বলে অভিযোগ রয়েছে ।
ক্ষতিগ্রস্থ বক্কার মোল্যার পুত্রবধূ স্বপ্না খাতুন অভিযোগ করে বলেন, তাঁর শশুর বক্কার মোল্যা ঈদের পরের দিন সার কিনতে শ্রীকোল বাজারের গেলে প্রতিপক্ষ ফরিদ মোল্যার সমর্থক আলী, রনি, মিজানুর, মিরাজ, হৃদয় ও ওসমানসহ আরোও অনেকে তাঁকে ধাঁরাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্বক আহত করে। এ ঘটনায় বক্কার মোল্যার লোকজন সংবাদ পেয়ে তাদেরকে ধাওয়া করে এবং তখন উভয় গ্রুপের মধ্যে একে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ সৃষ্টি হয় । এ সংঘর্ষের ফরিদ গ্রুপের আলাউদ্দিন শেখ নিহত হয় । এর পরপরই বক্কার গ্রুপের পুরুষ মানুষ বাড়ি-ঘর ফেলে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পুরুষ শূণ্যতায় ঘটনার পর থেকে অদ্যবধি ফরিদ গ্রুপের লোকজন বক্কার গ্রুপের নায়েব আলী, আমির শেখ, আওয়াল মোল্যা, মশিয়ার মুসল্লী, মোস্ত মিয়া, আবু বক্কার মোল্যা, হালিম জোয়ার্দার, জাহিদ, রকিবুল, কাশেম লস্কর, সালাম লস্কর, সিরাজ মোল্যাসহ আরোও অনেকের বাড়ি-ঘর, গরু-ছাগল, অসংখ্য বৈদ্যুতিক মিটার ও আসবাবপত্র ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। বাড়ির মোটর পাম্প, টিউবওয়েলের মাথা খুলে নিয়ে গেছে। নারীদের দিনে ও রাতে বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। রাতের বেলা নারীরা ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। ফলে বাড়ির নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় চরম উদ্বিঘœতায় ভুগছেন । পুরুষ মানুষ বাড়িতে না থাকায় চলতি মৌসুমের মাঠ ভর্তি পাট কাটতে পারছেন না । এমন কি তাদের আমন ধানের চাষও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীপুুর থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ মোশাররফ হোসেন জানান, দুই মামলায় মোট ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদেরকে গ্রেফতারের বিষয়ে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।