ঢাকা: দুদকের দায়ের করা দুর্নীতির মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহবায়ক মির্জা আব্বাসের আগাম জামিন শুনানির দিন পিছিয়ে মঙ্গলবার (৫ মে) পুনর্নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।
মির্জা আব্বাসের সিনিয়র আইনজীবীদের অনুপস্থিতিতে একজন জুনিয়র আইনজীবীর সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার (৪ মে) এ দিন পুনর্নির্ধারণ করেন বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশিরউল্লাহ।
২০১৪ সালের ৬ মার্চ প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের পক্ষ থেকে শাহবাগ থানায় মামলাটি করা হয়েছিল।
এ মামলাটির জামিনের আবেদনের শুনানি গত ১৫ এপ্রিল কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের বেঞ্চ। ১৬ এপ্রিল বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটি উপস্থাপন করেন মির্জা আব্বাসের আইনজীবীরা।
২৭ এপ্রিল আগাম জামিনের আবেদনের শুনানির জন্য মামলাটি এলেও আইনজীবীদের সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আবেদনের শুনানির জন্য সোমবার দিন পুনর্নির্ধারণ করা হয়।
এদিকে মির্জা আব্বাসের আইনজীবীদের সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে সকালে নাশকতার দুই মামলায়ও আগাম জামিন শুনানির দিন পিছিয়ে আগামী ২৪ মে পুনর্নির্ধারণ করেছেন বিচারপতি রুহুল কুদ্দুসের একক বেঞ্চ।
মির্জা আব্বাসের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন ও অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী বার কাউন্সিলের নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে শুনানি পেছাতে তিন সপ্তাহের সময়ের আবেদন জানান। তা মঞ্জুর করে আগামী ২৪ মে মামলা দু’টির শুনানির দিন পুনর্নির্ধারণ করেন আদালত।
বাসে অগ্নিসংযোগ ও বিস্ফোরণের অভিযোগে ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর পল্টন থানায় এবং বিস্ফোরক আইনে গত ৪ জানুয়ারি মতিঝিল থানায় মামলা দু’টি দায়ের করা হয় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে।
গত ১৫ এপ্রিল নাশকতার ওই দুই মামলায় মির্জা আব্বাসের আগাম জামিন বিষয়ে বিভক্ত আদেশ দেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। বেঞ্চটির জ্যেষ্ঠ বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী তিন সপ্তাহের আগাম জামিন দিলেও কনিষ্ঠ বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। আইন অনুসারে পরে বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে যায়। গত ২৬ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এসকে সিনহা) আগাম জামিনের আবেদন নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি রুহুল কুদ্দুসের তৃতীয় বেঞ্চ গঠন করে দেন।
২৭ এপ্রিল আইনজীবীদের সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে এক সপ্তাহ পিছিয়ে সোমবার শুনানির দিন পুনর্নির্ধারণ করেন নতুন এ বেঞ্চ।
সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ১২ এপ্রিল এ তিন মামলায় আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাস।
মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে বর্তমানে ৩৭টি মামলা রয়েছে বলে তিনি সিটি নির্বাচনের হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।