ঢাকা: বিএনপি নেতা ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর দ্বিতীয় নামাজে জানাজা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজার আগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পিন্টুর মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
খালেদা জিয়া ও দলীয় নেতা-কর্মীদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সোমবার (০৪ মে) সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে কার্যালয়ের সামনে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা পরিচালনা করেন ওলামা দলের নেতা মাওলানা আব্দুল মালিক।
বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে উপস্থিত থেকে পিন্টুর মরদেহে শ্রদ্ধা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, আ স ম হান্নান শাহ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, ধর্ম বিষয় সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সহ দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম, সহ-শিল্প বিষয়ক সম্পাদক শাহাজাদা মিয়া, নির্বাহী সদস্য রফিক শিকদারসহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
শ্রদ্ধা জানানোর আগে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, মরহুম নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু একজন উদীয়মান ও প্রতিশ্রুতিশীল নেতা ছিলেন। তার সাংগঠিক দক্ষতা ছিলো, তিনি আলোচিত ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তার হঠাৎ মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমরা নাসির উদ্দিন আহমেদের শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর দ্বিতীয় জানাজা শেষে তার মরদেহ বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর লেদার টেকনোলজি কলেজ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হবে।
সোমবার ভোর ৬টায় রাজশাহী থেকে নগরীর হাজারীবাগ ২৭ নম্বর মনেশ্বর রোডের নিজ বাসায় পিন্টুর মরদেহ আনা হয়।
বিডিআর হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু রোববার (০৩ মে) দুপুরে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসাপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে তাকে হৃদরোগ বিভাগে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম জানান, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (দক্ষিণ) তিনি প্রার্থী হওয়ায় গত ২০ এপ্রিল তাকে নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
ঢাকা কারাগার থেকে তিনি নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে পারেন এমন আশঙ্কায় কারা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে তাকে রাজশাহী কারাগারে পাঠানো হয়।
২০১৩ সালের নভেম্বরে বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) হত্যা মামলার রায়ে বিএনপি নেতা পিন্টু এবং আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ১৫২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর হত্যার ঘটনায় দায়ের করা ওই মামলার রায়ে পিন্টুর বিরুদ্ধে বিডিআর সদস্যদের পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
২০০৯ সালের ২ জুন হাইকোর্টের গেট থেকে পিন্টুকে আটক করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।